সোমা সাহা পোদ্দারের প্রথম কাব্যগ্রন্থ-- চলো সিগন্যাল পেরোই
নিকোনো উঠোন আদ্রতা মাখা। ছুঁয়ে থাকা কবিতায় কেবলই।
সহজতার সাথে সোমা
"আমার ডাকঘর" এ বলে ওঠে -
"ঠাকুমার ছেটানো জল/
ভোর খুলে দেয় শরত উঠোন"।
আবার সংক্রান্তির রাতে
"উনুনে ছড়িয়ে সংক্রান্তির গন্ধ"
"কার্নিশ সরালেই হলুদ
জোছনা"-
মায়াময় হয়ে ওঠে। আবার
"রোদে ডুব দেওয়া নদী"-তে ভেসে
যাওয়া।
সোমার কবিতায় "সাবওয়ে" আছে। যেখানে
"মেঘ বৃষ্টির গোপনতায়
ভেজামাটি" র খেলা।
"উষ্ণ
ঢেউ" সিরিজে উঠোন ডিঙিয়ে আনজান শব্দেরা।
|
পাঠ প্রতিক্রিয়ায়
কবি সুব্রত |
ওর কবিতার অনেক ক্ষেত্রেই আমি হয়তো প্রথম পাঠক। একই সাথে আমাদের লেখালেখি।
এমনকি বইও। কিছু ভালোলাগা ছুঁয়ে থাকে। অনতিক্রম্যতা ছাড়িয়ে ভেলভেট আদরমাখায় জড়িয়ে
যায়। জিপসী, চিঠি, সহ কিছু কথা "কবিতার
পেট চিরে বর্ণমালা" হয়ে ওঠে। "আতর" এ "মাটি পূজোর গন্ধ"
মেখে থাকি আমরা।
সব কবিতা কথকতা হয়ে না উঠলেও সোমা সিগন্যাল পেরোনোর অপেক্ষায়।
দেবাশিস
সরকারের নামাঙ্কনে কবি অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচ্ছদে
"এখন বাংলা কবিতার
কাগজ" এর নিবেদন পাঠককে নতুনের স্বাদ দেবে।