ভাতের কস্টিউম' - কাঁথার নীচে ঘুম শেষ হয় না যে কাব্যগ্রন্থের
"কপাল
চামচ হাতে আসো ,
আর তুলে নিয়ে যাও
জ্বরের ঔষধ
যৌবনের মধু এখানে নেই
বিস্তীর্ণ পতিত জমিন
ধান গাছের পচনশীল
গোড়া ও শিকড়..."
' দেহাংশ ' কবিতাটা এভাবেই শুরু হয়ে যায় তাপস দাসের
'ভাতের কস্টিউম' কাব্যগ্রন্থে ও চিনিয়ে দেয় কবির ঘরানা।চাষজমির সাথে জড়িয়ে থাকে যে কবির জীবন তার কবিতায় ধান , শস্য , জমিন এসব শব্দ ও রূপকল্প ফিরে ফিরে আসবে এটাই স্বাভাবিক।এ কবি দেহ হারিয়ে ফেলে ঈশ্বরের ভীড়ে ।বলে -
" মাঠে ঈশ্বর ফলে ?
ঈশ্বর ছেলে না মেয়ে ?
উত্তর এল
জায়গা ছোট ,
এখানে বলা গেল না ..."
কবি উচ্চারণ করেন ' মাপ করুন , ইংরেজি জানিনা'।
তাতে তার কাব্যদেহ মোটেও কমজোর হয়নি। বরং
মিলেছে নতুন কাব্যভাষা।'
জ্ঞান' কবিতায় কবি লিখেছেন -
"স্তন খুঁজলাম
পেলাম
মন খুঁজলাম
গেলাম
ফিরে এসে দেখি বুকে গর্ত হয়ে গেছে "
এ কোন তত্ত্ব জমাট বাঁধছিল কবিতায়।'গ্রামার ' কবিতায় কবি ভাষাতত্ত্বে জমিন খুঁজে পান - 'ধ্বনি
কিছু ধুলো জমাট বেধে তৈরি
বর্ণ
একটু মাটির ঢেলা
শব্দ
একতাল মাটি
বাক্য
বিঘার সিকি ভাগ জমি"
সত্যিই তো গ্রাম ছাড়া তো গ্রামার হত না।এই কবিকে প্রতিনিয়ত বিস্ময় কামড়ে ধরে।প্রেমিকাকে কবিতা এনে দিতে চান, আবার কবিতাকেই পরপুরুষ মনে হয় কবির।'মানুষের সাথে বাতাসা বিনিময় খেলা যায় না/চিন্তা বিনিময় চলে ..."।কবির এ বিনিময় চলুক।
পৌষালী প্রকাশ্নী
বিনিময় মূল্য - ৭০/
পৌষালী প্রকাশ্নী
বিনিময় মূল্য - ৭০/
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন