প্রথম দশকের কবি- ২
মৌমিতা পাল
মাইনাস সেভেন
ওহে , ওসলোর প্রেমিক ! তাপমাত্রা শূন্যের কম !
ঈশ্বরমূলে ঢুকে যাচ্ছে মিডল ফিঙ্গার,
স্যাচুরেশন , প্রিজার্ভেশন , রেস্টোরেশন ,
ডিকম্পোজিশনের পাঁচমিশেলি চচ্চড়ি
রেঁধেই চলেছি আজীবন ...
রেস্টোরেশনের সময় যে পাশে থাকেনি তাকে ছুঁড়ে ফেলে নতুন সঙ্গম বেছে নিয়েছি।
টেকানোর তাগিদে নিজেকে রক্ষা করে একটাই রুটির চারপাশে মশারি খুলেছি,মদ খেয়ে আই লাভ ইউ বলতে ধেয়ে আসা পুরুষদের উপহার দিয়েছি আজব প্রজাপতি।
শিকের গায়ে লাগাচ্ছি তন্দুর নয় , গোবর!
স্তন খুঁজতে খুঁজতে বরং মন পেয়েছি দু -চারটে,জেনেসিস জেনেসিস অর্ধনারীশ্বরই জেনেসিস
নবনীতা ভট্টাচার্য্য
দীর্ঘশ্বাস
দুরন্ত দুটো গ্লাভসের ভেতর
ধোঁয়া উঠছে।
খইয়ের ভেতর থেকে
দীর্ঘশ্বাস।
বুকটা উদলা রেখে ঘুমায়
টোটো পাড়ার আদিবাসী মেয়ে।
কাল সকালে আজান হবে।
কবর ফুঁড়ে দীর্ঘশ্বাস।
দুরন্ত দুটো গ্লাভসের ভেতর
ধোঁয়া উঠছে।
খইয়ের ভেতর থেকে
দীর্ঘশ্বাস।
বুকটা উদলা রেখে ঘুমায়
টোটো পাড়ার আদিবাসী মেয়ে।
কাল সকালে আজান হবে।
কবর ফুঁড়ে দীর্ঘশ্বাস।
দীপান্বিতা রায় সরকার
স্মারক
আমি বিমল শস্য এনে দিতে
পারি,
মেহগিনি রঙের সুষম নির্যাস।
ডাক নামে স্নেহাস্পদের নরম আলো,
অথবা একটি নদীর বাগদান।
সমাবর্তনে ফিরে আসা রোদের মুখে,
কোন প্রতীকী স্মারক কোন মোহ।
ভেঙে চুড়ে বেড়িয়ে আসা আলেখ্য গান,
শর্তহীন সমর্পণের দর্পিত স্পর্ধা।
উপমার দিনলিপি জুড়ে কুন্ঠিত হাত,
সহজেই ছুঁয়ে আসে সামগ্রিক শৌখিনতা।
ক্রমে ফুটে ওঠে দিঘির মতো শান্ত মুখ।
কুয়াশার সেতু, সুগন্ধ
চরাচর।
শুধু আত্তীকরণে রেখে বুঝি,
সমস্ত দ্বিধাই আমার প্রতিকী হয়ে আছে।
পাপড়ি গুহ নিয়োগী
নারী দিবস
জিভে লাগে, বিষ আর মধু
হাসপাতাল খোঁজে ক্ষতের জ্বালা
সম্পর্কের সৌন্দর্য্য আয়ু চায়
মুখহীন পরস্পর অন্ধকার
সেলাই করে ঠোঁট
রাত বাড়লেই একটু হেসে
পাশে বসে কালো কাপড়
প্রতিটি আত্মহত্যাই একটি নারীদিবস
মীনাক্ষী মুখার্জী
ডিসেম্বর
কুয়াশার বিষ ঢালা নদী । স্মৃতি উড়িয়ে অজানা বিন্দু স্পর্শ করে শরীর।
ক্রমশ লাল হয়ে এলে আলোকরশ্মির কম্পন
রেখে যায় ছেলে ভুলানো
স্যাণ্টাক্লজের মোজায় মোজায়।গিফট প্যাকে বারুদ আসে। ক্যালেন্ডার জুড়ে
আগুন গড়িয়ে
যায়। ইকো হয় পিপাসিত কুকুরের লালায় ঘাসের গন্ধ।
ডিজিটাল হাত বরফ মাখে।
বরফ ও যে পোড়াতে জানে -' আইস বার্ন 'কে
উপেক্ষা করে রসদ লেখে রসিদে।
শহরে শীত নামলে কফিমগে উষ্ণতা চুরি করে
জ্যাকেটে আড়াল করি জবানবন্দি
দেবশ্রী রায়
বিচ্ছেদ তত্ত্ব
আমার নিকোনো উঠোন পেরিয়ে,
পরিধির কাছ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির পাশে
কতদিন শুয়ে থাকিনি।
বৃত্তের ভেতরেই একটি ব্যস্ত জীবন,
প্রতিটি ত্রস্ত দিন।
নির্জন দুপুরে নিরন্ন কাক ডেকে গেলে,
আমি ভেষজ লজ্জা খুলে রেখে,এগিয়ে যাই,
ক্ষুধার্ত চাষজমির দিকে।
ষড়ভূজ আলোয় শর্তহীন সহবাস মুছে দিয়ে,
শরীরে জীবনের ব্যাকরণ মেখে শুয়ে থাকে
তুমুল বর্ষার ইঙ্গিত।
রোদ্দুরের ধারাপাত ছিঁড়ে সাঁতরে চলে হাঁস
পর্ব থেকে পর্বান্তরে।
অপরাহ্নের ম্লান আলোয় স্নান ঘরের ডাক এলে,
অনিবার্য কিছু বিক্ষিপ্ত যাপনচিত্র ঢুকে পড়ে
বিবর্ণ
আত্মজীবনী ছিঁড়ে।
বৃত্তের বাইরে নির্ধারিত সাক্ষাত বিদ্রুপ করে ওঠে।
বিচ্যুতির সম্ভাবনা উপেক্ষা করে বিচ্ছেদ তত্ত্ব
দীর্ঘশ্বাসে ভিজে যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন