এ জীবন লইয়া কী করিব
প্রলয় নাগ
পাঁচ-ছ'টি কুকুরের বাচ্চা। গলিটার ভেতর এলো মেলো ভাবে শুয়ে থাকে। দুধের জন্য পরস্পরের মধ্যে কাড়াকাড়ি করে। এই গলিটা এখন এদের দখলেই। সকাল হলেই চিৎকার শুরু করে দেয়। সবচেয়ে ছোটো বাচ্চাটি কালো-সাদা, গলার দিকটায় কিছুটা ডোরাকাটা। সে সবকিছু থেকেই বঞ্চিত হয়। গলির দু'পাশে খোলা হাইড্রেনে পড়ে যাওয়ার ভয়ও আছে। গলিটা ছাড়িয়ে সামনেই দিকে কিছুটা এগিয়ে গেলে একটা খোলা জায়গা পড়ে। সেখানে আর্বজনা ফেলার একটি ডোবা। ডোবায় কচুরিপানায় ভরা থাকে আর যখন বেগুনি রঙের ফুলগুলি ফোটে তখন গোবরে পদ্মফুলের মতোই লাগে। আর এই ডোবায় পাশেই জমিতে পর্যটন দপ্তরের একটা পুরনো অফিস। কুয়াশাকে দু'ফালি করে এখানেই সাদা আম্বাস্যাডারটি নিয়ে এসে দাঁড়ায় ভৈরব। ভৈরব সাড়ে ছ'ফুটের বেশি লম্বা, শ্যাম বর্ণ, দৈত্যের মতো চেহারা। গালে একটা লম্বা কালো দাগ আছে। অনেকদিন আগে দাঁতে তার পোকা হয়েছিল। এক বেদে রমণী ঝাঁড়-ফুকের পর ব্লেড দিয়ে গালে আচর মেরে বলেছিল: লে যা! অওর দুবারা কভি হবেক না!
সত্যিই আর কোনওদিন দাঁত ব্যথা হয়নি। ভৈরবের এক দাদা ছিল। তার হাত ধরেই ড্রাভিংটা শিখে ছিল ভৈরব। দাদা মদ খেয়ে খেয়ে লিভার পচিয়ে ফেলে। অসময়েই মারা যাওয়ায় গাড়িটা তাকেই চালাতে হয়। তাও বছর দশেক তো হবেই।
ভৈরব এখান থেকে লাশটা উঠিয়ে গাড়ির পেছনের ডিগ্গিতে ফেলে নিয়ে যাবে হাসপাতালে পেছন দিকটার ঘরটার। দূরত্ব বেশি নয়। যান-জট না থাকলে মিনিট কুড়িতে পৌঁছে যাবে। আর এরমধ্যে যদি রেশমির কথা মনে পড়ে যায় তো গলির মাথায় আম্বাস্যাডরটি দাঁড় করিয়ে রেশমির সাথে দেখা করে আসবে। রেশমি অনেকবার তাঁকে বলেছে: তুই মরা-টরা ছুঁয়ে আমার ঘরে আসবি না বলে দিচ্ছি!
--- ওই মগনা আসি নাকি রে? তোর এত ফুটানি হল কবে থেকে রে! মনে রাখিস আমি না থাকলে এই লাইনে তোকে কেউ চিনত না। এখন আমাকেই দেমাগ দেখানো হচ্ছে! ভৈরব জবাব দেয়।
ভৈরবের দৌলতেই রেশমির ব্যবস্যা রমরমিয়ে চলছে। উপর থেকে নিচতলা ---- অনেকের সঙ্গেই লাইন করে দিয়েছে ভৈরব। তার ওপর কোনও ভেটও দিতে হয় নি।
গোষ্ঠি সংঘর্ষে খুন হয়েছে নকুল। সারা শরীরে সাত আট-টা ছুরির আঘাত। রক্তে লাল হয়ে গেছে সাদা জামাটা। রক্ত খেতে লাইন দিয়েছে বড় বড় কালো ঢোলা পিঁপড়ে। দেশের অবস্থা বেশি একটা সুবিধাজনক নয়। চারদিকে গোষ্ঠি দ্বন্দ্ব, খুন, তোলাবাজি, বেকারত্ব হু-হু করে বেড়ে চলেছে। বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসনের ওপর লোকের ভরসা ওঠে গেছে। তার ওপর দেশে নতুন ভাবে শুরু হয়েছে জাত-পাতের রাজনীতি, খাদ্যসামগ্রী, পোশাক-আশাক, জীবন ও সম্পর্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা। ক্লাস থ্রি-পাশ করা ভৈরব মড়া বইলেও বিভিন্ন মহলে চলাফেরার দরুণ দেশের অবস্থাটা ভালো আন্দাজ করতে পারে। তাছাড়া পুলিশের বড় কর্তাদের মুখ থেকে এসব শোনে। আগে মাসে এক-দুটো বডির খবর আসতো, এখন প্রায় প্রতিদিনই বডির খবর আসে। তাতে হয়তো ভৈরবের রোজগারটা বেশি হয় কিন্তু আশঙ্কা তার-ও হয়।
দলের পুরনো কর্মী নকুলের মার্ডারটা হঠাৎ করেই হয়ে যায়। কেউ ধারণা করতে পারেনি এভাবে নকুলকে সরিয়ে দেওয়া হবে। নকুলকে কে বা কারা খুন করেছে সে নিয়ে কানাঘুষো শোনাগেলেও কেউ সামনে এসে খুনির দিকে আঙুলটা তুলতে পারে না। এমনকি পুলিশেরও বিষয়টি জানা কিন্তু উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে কাওকেই গ্রেফতার করতে পারে না। নকুল দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। এ অঞ্চলের দলের প্রভাব প্রতিপত্তিতে নকুলের ভূমিকাই সর্বাধিক। ওপর মহলের একের পর এক হঠকারি সিদ্ধান্ত দলের ভাবমূর্তি মানুষের কাছে নষ্ট করে ফেলেছে। দলের এই দুর্দিনেও কিছু লোক নকুলের ওপর ভরসা রেখেছিল। আর নকুলের জন্য ওই হারামি গোছের নেতারা কিছুই করতে পারছিল না। তাই বুদ্ধি করে তাকেই সরিয়ে দেওয়া হল। অথচ এই সহজ সত্যিটা তুলে ধরার মানুষের বড়ই অভাব।
ভৈরবের মনটা স্বাভাবিক ভাবেই একটু ভারী হয়ে আছে মরার খবরটা শোনার পর থেকেই। নকুলকে ভৈবর আগাগোড়া একটা শ্রদ্ধা করত। সে অন্যান্য কমরেডদের মতো আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়নি। বড়বাবুর ডাকে অপেক্ষা করছিল ভৈরব। মড়া দেখে দেখে ওর সব জল-ভাত হয়ে গেছে। মড়ার প্রতি তাঁর কোনও বাড়তি আকর্ষণ নেই। জীবনে অনেক মড়া সে বয়েছে। এমনকি নিজের দাদার মৃত দেহটাও বয়ে নিয়ে এসেছিল। অনেক রকমের মড়ার গল্পও সে জানে। লোকজন আগ-বাড়িয়ে মড়ার গল্প শুনতে চাইলে ভৈরব সত্যমিথ্যা মিশিয়ে আজগুবি কিছু একটা শুনিয়ে দেয়। বলে,
--- বডি আমি পেছনের সিটে বসিয়ে আনি। বডি আমার সাথে বসে বসে গল্প করে। বিড়ি খৈনী বানিয়ে আমার হাতে দেয়, আমিও খাই। একবার এক সুন্দরী মেয়ে বডি গাড়িতে করে আনছিলাম! কিছু ছেলে ওকে রেপ করে মেরে ডোবায় ফেলে রাখে। সে আমার গাড়িতে আসতে আসতে সমস্ত ঘটনাটা বলেছিল।
ভৈরবের ডাক আসে। ভৈরব প্রায় দু'আড়াইশো লোকের মাঝখান থেকে বডিটাকে কমলা রঙের পলিথিনে জড়িয়ে গাড়ির পেছনে ডিগ্গিতে করে শহরের দিকে রওনা হল।
২.
রেশমির দরজায় তিন-তিনবার টোকা দেবার পর রেশমি ভেতর থেকে জানিয়ে দিল 'লোক আছে! পরে আয়।' রেশমির জানা হয়ে গেছে দরজা বন্ধ থাকলে ঘরে টোকা দেবার ক্ষমতা এক মাত্র একজনেরই আছে। ভৈরব পোস্টমর্টেম করার পর নকুলের বডিটা নিয়েই ফিরছিল। আর এ পথে রেশমির গলিটা পড়ে। হঠাৎ রেশমির সঙ্গে দেখার করার সাধ হল। গলির মাথায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেশমির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিরাশ হয়ে ফিরতে হল। বেশ কয়েক মাস থেকেই রেশমির বদলটা ভৈরব লক্ষ করছে। তবে ঘরের ভেতর থেকে যে পুরুষ মানুষের গলাটা পেল সেটা ভৈরবের খুব পরিচিতই মনে হল। তারপর পাশের এক দোকান থেকে একমুঠো বিড়ি কিনে আবার গাড়ি ছাড়ল। ভৈরবের মনের বাতিক আজ অন্য রকম। সে ভেবে ছিল আজ রেশমির সাথে কিছুটা সময় কাটিয়ে যাবে --- কিন্তু হল না! আবার মনে মনে ভাবছে গাড়িটা থামিয়ে কি আরও একবার দেখে আসবে? হঠাৎ করে আবার গাড়িটা থামিয়ে দিল। বাইরে এসে পকেট থেকে বিড়ির প্যাকেটটা বের করে একটি বিড়ি মুখে দিতেই এক বছর তিরিশের যুবক এসে লাইটারটা জ্বেলে ধরল। বলল:
--- এত অস্থির কেন ?
ভৈরব লোকটির মুখের দিকে চাইবার প্রয়োজন বোধ করল না। সে আগুন বাড়িয়ে দিল মানে বিড়ির কয়েক টান তাকেও দিতে হবে। এমনটা নতুন নয়, আগেও হয়েছে। ভৈরব জবাব দিল: অস্থির হই নি ভায়া। ভাবছিলাম ভালো মানুষের আয়ু খুব কম এই দুনিয়াতে!
--- তা তো অনেকদিন আগে থেকেই জানা! নতুন কী? আপনার আজ মনে হল!
--- নকুল কমরেড! চেনো? বুকের মধ্যে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে মেরেছে। বডিটা দেখতে চাইলে দেখে নাও। গাড়ির ডিগ্গিতেই আছে!
--- তা মারবে না। এটা কি কমরেডেদের যুগ আছে! কমরেডরাও কী কম মেরেছে?
---নকুল দল চেঞ্জ করেও কমরেডই ছিল। সবাই কমরেডই ডাকতো, ভালোবাসতো! লোকের আপদে-বিপদে পাশে থেকেছে।
--- ওসব নীতি-আদর্শ এখন আর নেই, ভায়া!
--- মানুষটা তো ভালো ছিল!
ভৈরব জ্বলন্ত বিড়িটা যুবকটির হাতে দিয়ে আবার গাড়ির স্টিয়ারিং ধরে বসল। ছেলেটি পেছনের সিটে বসে ভৈরবের সাথে নানা বিষয়ে গল্প জুড়ে দিল। অনেক নীতি আদর্শ ত্যাগের গল্প শোনাতে লাগল। পলিটিক্সের গ্যাড়াকলে পড়ে সদ্য কর্মহীন হওয়ার কথা, অনেক দেশের গল্প, ক্যাঙ্গারু দেশ, সোনার বুট, জিদান-মাতোরাজি আরও কত কী? তারপর ছেলেটি একটি মোড়ের মাথায় নেমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে:
--- আসি ভায়া! দেখা হবে!
৩.
ভৈরব নকুলের বডিটা নামিয়ে দিয়ে আবার আগের রাস্তা ধরেই ফিরছিল। রাত অনেকটা হয়েছে, নকুলের জন্য সারাটা দিন মুড অফ ছিল। ভেবেছিল রেশমির কাছে গিয়ে কিছুটা দুঃখ ভুলবে কিন্তু রেশমিও দাগা দিল। শেষপর্যন্ত সেই ছেলেটির কিছু কথা-বার্তা শুনে মনটা হালকা হয়েছে। ভৈরব বুঝতে পারছে না কোথায় যাবে! আরও একবার কী রেশমির ঘরে যাবে নাকি বাড়ি ফিরে যাবে সোজা! সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে ভৈরবের গাড়ির সামনে হঠাৎ একটি লোক এসে পড়ল। ভৈরব প্রচন্ড জোরে ব্রেক কষল, চাকার শব্দ হল ভীষণ জোরে, শেষ রক্ষা হল না। ভৈরব বিরক্তির সুরে বলে উঠল: শালা! মরবি তো আর জায়গা পেলি নে। আমার গাড়ির নীচেই!
ভৈরব পারতো পালিয়ে যেতে। এই শুনশান পথে দেখার কেউ ছিল না। কিন্তু পালিয়ে না গিয়ে গাড়িটা থামিয়ে পেছনের লাইটগুলো জ্বেলে দিয়ে আহত লোকটির কাছে এল। লোকটির বুকের ওপর দিয়ে দুটি চাকাই চলে গেছে। লোকটির মুখটি দেখে ভৈরব থতমত খেয়ে গেল। নকুল কমরেড! ভৈরব কাছে যেতেই নকুল কিছু বলতে চেষ্টা করছে। ভৈরব মাথাটি তুলে ধরতেই:
--- রেশমিকে দেখিস ভৈরব! ওর কাছে আমার সন্তানকে রেখে গেলাম। নকুল শেষ নিঃশ্বাসটি ছাড়ল। রেশমি -সন্তান আর এই নকুল: ভৈরব কিছুই বুঝতে পারছে না। যে নকুলের লাশ তুলে এনে ময়নাতদন্তের পরে নকুলের বাড়ি পৌঁছে দিয়ে এলো সেই নকুল আবার তার গাড়ির নীচে! কী ভাবে সম্ভব ! আর শেষ যে কথাটি বলে গেল সেটারও-বা মানে কী? ভৈরব সাত-পাঁচ কিছু বুঝতে পারছে না। তার মাথা কিছুতেই কাজ করছে না। শীতের রাতে ঘামতে লাগল ভৈরব। কী করবে বুঝে উঠতে পারছে না। পকেট থেকে আবার একটা বিড়ি বের করে মুখের কাছে ধরতেই সেই শিক্ষিত সদ্য কর্মহীন হওয়া ছেলেটি আবার মুখের সামনে লাইটার জ্বেলে ধরল।
--- কী ভায়া, নতুন সমস্যা! বলেছিলাম না নীতি আদর্শের যুগ আর নেই। সত্যের যুগ সেই কবে চলে গেছে!
ভৈরবের মুখে কোনো কথা নেই। বিড়িটা শেষ করে। আরেকটিতে জ্বালালো। ছেলেটি বলল,
--- লাশটি তুলুন গাড়িতে। আর আমার কথা মতো চলো, মহানন্দায় এখনও অনেক জল আছে। কোনও শুনশান ঘাটে গিয়ে ভাসিয়ে দাও। কাকপক্ষীতেও টের পাবে না। এভাবে অনেক কমরেডের লাশ এক সময় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তুমি না হয় তার আরও একবার পুনরাবৃত্তি করলে।
ভৈরবের চিন্তা-শক্তি লোপ পেয়েছে। কি করবে বুঝতে পারছে না। কিছুক্ষণ চুপ করে গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে রইল। ভাবল, ভেবে শেষটায় ছেলেটির কথা মতো লাশটি গাড়িতে তুলে ছুটল। মহানন্দা ও বালাসনের মিলন স্থলে লাশটি ভাসিয়ে দিল। জলে লাশটি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীর পার ভাঙার শব্দ শুনতে পেল আর কিছু খেকশিয়ালের চিৎকার।
ভৈরবের সঙ্গে এরকম ঘটনা কোনোদিন হয়নি। রেশমির কাছে ছুঁটে গিয়ে সত্যিটা জানতে চেয়েছে। বার বার একই প্রশ্নের জবাব জানতে চাওয়ায় রেশমি একদিন রেগে গিয়ে ক্ষিপ্ত বাঘিনীর মতো বলে ওঠে: হ্যাঁ..হ্যাঁ! আমার পেটে নকুল কমরেডের সন্তান! তুই কী করবি বল?
রেশমির জবানবন্দিটা সত্যি না নকুলের খুন হওয়া সত্যি নাকি নকুলের দ্বিতীয় বারের মৃত্যুটা সত্যি--- ভৈরব কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। এহেন তীব্র দ্বন্দ্বে ভৈরবের সারাটা রাত কেটে যায়। তাঁর দাদা ছোটবেলায় যে গল্পগুলো ভৈরবকে শোনাতো ঠিক সেরকমই একটা স্বপ্ন দেখে ভৈরব। একদল পুলিশ ছুটছে একটি ছেলের পেছন পেছন। আর সে পুলিশের গাড়ির চালক ভৈরব। ছেলেটি প্রাণপনে বাঁচার চেষ্টা করছে। আর দৌড়তেও পারছে না। পর পর দুটো গুলি লেগে ছেলেটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। ধরা-ধরি করে যখন সদ্য কাঁচা রক্ত লেগে থাকা দেহটি গাড়িতে তোলা হল তখন ভৈরব এক নজরে ছেলেটির মুখটা দেখেই চিনতে পারে। চমকে ওঠে। সেই বছর তিরিশের যুবকটি। পুলিশেরা নিজের মধ্যে বলা-বলি করছিল: এই বানচোদটাই এ গ্রুপটার মাথা ছিল।'
পরদিন সকালে ভৈরব গাড়ি নিয়ে ছুটে যায় নদীর দিকে, যেখানে নকুল কমরেডের দেহটাকে ভাসিয়ে দিয়ে ছিল। সেখান থেকে আবার ফিরে আসে রেশমির গলির দিকে। রেমশিকে আবার জিজ্ঞেস করে সত্যিটা জানতে চাইলে রেশমি আবার একই কথা বলে। ফেরা পথে আবার একটা লাশের খবর আসে। লাশ আনতে গিয়ে দেখে সেই বছর তিরিশের ছেলেটা গলায় দড়ি দিয়ে ঝুঁলে আছে আর পাশে পড়ে আছে একটি সুইসাইড নোট:
'এ জীবন লইয়া কী করিব'।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন