হে অরণ্য
এক
এ স্বাদে রক্ত লেগে থাক
এ খাদেও রক্ত লেগে থাক
ফাঁকা রাতে জল পড়ে থাকে
নদী তার হাওয়া নিয়ে চলে
দুই
কী হয়েছে বলো বিকেলের মাঠ
ওদিকে গনগনে আঁচ
সূর্য মধ্যগগন
পুড়ে যাবে
গালের মেচেতা ঘন হবে খুব
জানি চৈত্রের পাতারা মুচমুচে হয়েও
কতটা উদ্যামে মত্ততা দেয়
হে বিকেল খুলে রাখো আগুনের পাঠ
শুধু পরিব্রাজক হও
ধরণীমোহন
তিন
যেভাবেই সাজাই না কেন
ভাঁজ খুলে যায়
সাজ মুছে যায়
মুঠোয় দৃশ্য জমে থাকে
যেন আগ্রাসী অঘ্রাণ থেকে থেকে
বুকের ভেতরে ঘুঁসি মারে
বেদনার অতীত
গলায় প্যাঁচানো সাপের ঢেউ
আমি এক মুক্ত কারাগার
ধরে রাখতে চাই
তবুও
শুধু ধুয়ে যাও
জলে কেচে বিগ্রহ করি বারংবার
চার
ফাঁকি মনে হয়
কন্ঠস্বরে সারল্য মাখামাখি করে রাখো
যেন আমি বুঝেও বুঝি না
এইসব অনাহূত তাপ জল আর
ভোরের বিন্যাস
মুগ্ধ করে রাখে
পাঁচ
ফাঁক বুঝে গেছি
ফাঁকতালে আমিও ঝাঁপতাল
কাঁটা ফুটে আছে
যেন আমি সরে গেছি
যেন তুমি সরে গেছ
যেন এক গহন বন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন