গান ও গাঙের ঢেউ
ফেলে আসা সব ভাঙা
রাস্তার কথা মনে পড়ে
পালিয়ে যাওয়া মুরগির পেছনে
লাটিম
গ্রাম্য দৃশ্যের ভাঁজে অবিরাম তাঁতকল
যে নদীতে সাঁতার কাটিনি কখনো, সেই নদীর
কথা
শুনি
উঠোনের মাটি নিয়ে বাড়ি
ফিরছে মা
মা মানে আস্ত এক মামাবাড়ি
সজনে গাছের নিচে প্রতি
দুপুরে খেতে বসতেন
দাদু
তখন মহিলা মজলিস।
উলের কাঁটায় সরস্বতী মাসীর
আঙুল।
২.
সূর্যাস্তের আলোয় দেখি হাসিমুখের ব্যাঙ দিদা।
তিনি গল্পের ভেতর গুঁজে
দিতেন তিস্তাচরের বাঘ
ভরা নদীর কিনারে হেঁটে
যাচ্ছেন রাণী অশ্রুমতি
অথচ ঘন ঘন লুডুর
গুটি হারিয়ে যেত।
কদমতলার মোড়ে পাগলা বাইসন।
বজরায় বৃষ্টি,বৃষ্টির মধ্যে
শুনি মেচেনি খেলার
গান
আউশের পায়েস নিয়ে তারপর
ক্ষেত খামারে ঢুকে
পড়ি
৩.
একজন পুরোন
মানুষের সঙ্গে ঘুরে
ফিরে দেখা হয়
নদীতে ভেসে
আসা কাঠের বন্দুক।
জল ও জঙ্গলে শুনি পাখির
শিস।
দূরে চলে যাচ্ছে ক্রমে খড়মের শব্দ।
৪.
বাচ্চা ঘোড়ার পিঠে দূরবীন।
এদিকে গাড়ি
থেকে কারা যেন খুলে নিয়ে গেছে
ব্যাটারি
পৃথিবীটা সবুজ হয়ে উঠছে।
পৃথিবীর ভিতর
ঢুকে পড়ছে আলপথ
সাপের শরীরে
হাত রাখি।
সাপের শিয়রে হাত রাখি।
দূরে কাছে
বেজে উঠছে বাঁশি।
৫.
আমি আহ্লাদ থেকে দূরে সরে আসছি।
বাঁশগাছের ছায়া থেকে দূরে সরে আসছি।
মাটি থেকে
পিঁপড়ের ঝাঁক উঠে এলে
মায়া ও মমতা নিয়ে ঢুকে
পড়ি মাতব্বরের
হাটে
৬.
বিকেল থেকে
সন্ধ্যে লিলুয়া বাতাসের সাথে খেলা
করি
মিছিলের পর মিছিল যায়।
বাঁশি আর বাজনার পাশে একা একা নাচতে থাকে
খলনায়ক
৭.
মনখারাপের ডাইরি থেকে
চড়ুই পাখির বাসা থেকে
আমরা দেখি
দেশের ভেতর কতরকমের দেশ
লবনজলের মাঠে মেঘের ছায়া
৮.
ঘুঘুপাখির ডাক বরাবরই আমার
ফেভারিট।
আমগাছের ডালে ইঁদুরেরা বেড়াতে এলে
স্মার্ট ফোনে কেউ কেউ তুলে রাখে ছবি
শান্ত হয়ে আসা উঠোনের পাশে ছায়াসমেত
জিপগাড়ি ঢোকে
৯.
ঘুনধরা কাঠ জানে অতলান্ত গানের ম্যাজিক।
ভাদ্রের জলাশয়।
পাট পচা দুপুরের নিজস্ব একটা ঘ্রাণ
থাকে
সিড়িতে শ্যাওলার দাগ।
পাগড়ি মাথায় এগিয়ে আসছে
কুনকি হাতির মাহুত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন