আপেল যন্ত্রণা
আমার মনে দমকা বাতাস
বইছে
অথচ পাথর আমার নিঃশ্বাস
বাঘিনীর চুল আর চোখের
মধ্যে
মায়া
বাঘিনী,যতবার তুমি কামড়
দাও;
ততবার তুমি আমার হৃদয়
কামড়ে নাও
আমি পুড়তে থাকি আপেল
যন্ত্রণায়!
এক চোখা হরিণ
বাঘিনী হৃদয় চেয়েছে শরীরী
সুঘ্রাণে
বেপরোয়া চুম্বন, ছন্নছাড়া মনে
চায়নি আমাকে
মধ্যরাতের নরম ঘাসের ময়দানে
তবু আমি হৃদয়হীন ছায়ার
পিছে
ছুটতে ছুটতে মিছে
দাঁড়িয়েছি এসে পুলসেরাতের পুলে
ভালবাসার অপরাধে
বাঘিনী চাইলেই পারে নিচে
দোজগের আগুনে ফেলে দিতে
ইচ্ছে করলেই পারে বাঁচিয়ে নিতে
পৌঁছে দিতে বেহেস্তি বাগানে
আমি বুঝি ভালোবাসার কৃতদাস
সেই এক চোখা হরিণ!
বাঘিনী ও ক্ষয়া চাঁদ
বাঘিনী ক্রমশ ছড়িয়ে দিচ্ছে হাড়-কঙ্কাল;
নিজেকে
ভাঙ্গতে
ভাঙ্গতে
নির্জনে
ঘুম ও গর্জনে প্রকম্পিত হাসপাতাল
আইসিইউ-র বিছানায়
শুয়ে
শুয়ে
রক্তকনিকার প্রতিটি ফোটায়
দেখে নিচ্ছে দেহের সমুদ্রে ক্ষয়া চাঁদ
জ্বরের চিতা
জ্বরের চিতায়
শরীরে অক্সিজেন পুড়িয়ে
নার্সের আঙুলে
প্রিয় মাছ ইলিশের গন্ধে
বাঘিনী স্বপ্ন দেখে--
সে চলে গেছে সুন্দরবনে
কয়েদী হৃদয়
নিজের গায়ের গন্ধে বাঘিনী উতলা
খুনের বদলে ক্ষমা প্রার্থনা করে
বাঘিনীর শরীরে জাগে কস্তুরী ঘ্রাণ
পরকীয়া-প্রবণ পৃথিবীতে অযাচিত
প্রেমের আগুন
জ্বরের বেহুশতায় শায়িত
ডোরাকাটা দাগ--তুলে আনে
নিঃসঙ্গ জীবনের কয়েদী হৃদয়
মৃত বাঘিনী
কবরস্থানে একটা দরোজা কাটা
হয়েছে
যতক্ষণ না এটি বন্ধ
হয়ে যায়-- উপরের
দিকে
তাকিয়ে থাকা আকাশের নিচে
সোনার মোহরের মতো শুয়ে
থাকে বাঘিনী।
চাঁদ উঠে আসে
একটা ধূর্ত শিয়াল পালিয়ে যাচ্ছে
প্রতিধ্বনি তুলে স্বর্গ থেকে
মৃদু গর্জন উঠে আসছে
এবং পৃথিবী ঢোলের মতো সারা রাত প্রতিউত্তরে মগ্ন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন