সভ্যতা
ছায়ার ভেতরে, ছায়ার গভীরতা মাপতে গিয়ে প্রায়শই তলিয়ে যেতে হয় মহাসমুদ্রের ইন্দ্রজালে।সে কথা জানি। তবুও মানতে গিয়েই হোঁচট খেতে হয় রাজপথে। এর আগে কোনোদিন তোমাকে তোমার মতো করে দেখিনি বলেই তোমার সমস্ত শরীর জুড়ে এঁকে দিয়েছিলাম কৌশিকী অমাবস্যার গাঢ় কালো রং। নিষিদ্ধ উপন্যাসের পৃষ্ঠা থেকে ধুলো ঝারতে ঝারতে ক্রমশঃ ম্লান হয়ে আসা ভাদ্রের রাগ ভৈরবী সুর যেন ডেকে বললো
"সে তো কোনো স্প্যানিশ ম্যাটাডর নয়
কাজেই সমস্ত পুরুষ জাতির দম্ভের লহর সামাল দেওয়া তার একার দায় নয়" খানিকক্ষণ নিস্তব্ধ হয়ে বসে ছিলাম মৃত্যু উপত্যকায় সেদিকে কোনো খবরই ছিলনা। তাই আজ তোমায় কল্পনা করার আগেই ,তোমায় কয়েকবার নাড়িয়ে চাড়িয়ে দেখে নিই
তুমি ঠিক তোমার মতো আছো তো!
জানি দাগ মেটে না কোনোদিন তবুও তোমার সম্মুখে দু হাত জোড়করে প্রার্থনা করি,প্রেমের নামে অভিনয় করে হিংস্র পুরুষেরা তোমার পায়ে অনুপম কলঙ্কের যে শিকল বেঁধে রেখেছে জনসমক্ষে তা ভেঙে ফেলার একটা সুযোগের।যদি কোনোদিন ঋতুচক্র থেমে যেতে নেয় তবে নিবিড় আলিঙ্গনের শামিয়ানায় নির্লিপ্ত করো কবিকে।ভেঙে গুড়িয়ে দাও পাজ্ঞরস্থি, অনুভূতির আগ্নেয়গিরিতে ফেলে তাকে দগ্ধ কর।তারপর ঠোঁটে ঠোঁট গলিয়ে দুচোখে ঢেলে দাও তোমার অসমাপ্ত প্রেমের গূঢ় চুম্বন।সমাজ দেখুক কীভাবে প্রায় নিঃশেষ হয়ে যাওয়া জীবাশ্ম থেকে উঠে আসে অনুরাগের যাবতীয় ঐশ্বরিক ইতি কথা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন