এক আঁজলা আকাশ
জীবন নিজেকে একসাথে পুরোটা দেখতে পায় না। জীবন থেকে কি চুরি হলো, চুরি কাউকে বলে না।কিছু গন্ধ রয়ে গেলো। গন্ধের অনেকটা নীল আর দু এক ফোঁটা নেই রঙ। নেই রঙ মাঝেমাঝে পাতা উল্টে এলোমেলো করে যায়।এক ভুলে যাওয়া পাহাড়ের শুঁড়িখানা মনে পড়ে। ভেতরে কাঠের বেঞ্চি।ঘুন ধরা কাঠ,হাড়ের ভেতর জমে আছে দুর্দান্ত যৌবন। শুঁড়িখানার বুক খোলা শার্ট, ঝাপটাচ্ছে ঝড়ের থাপ্পড়। পেছন ফিরে বসে,কে ওই মাঝবয়সী উনুন। রোস্ট হচ্ছে বর্তমানের ফালাফালা মাংস। গ্লাসের আয়নায় অস্পষ্ট ডাক,ঘন কালো মেঘ। মেঘের দোলনায় একটা ফিঙে পাখি দুলচ্ছে। কোথায় শুরু মনে পড়ে না। একটু পরেই মেঘেরা বিকেল হয়ে যাবে আর ফিঙে পাখির আলো কমে আসবে।
অল্প আলোয় মুখোমুখি বসা,ওরা কারা!জানলায় কনকনে হাওয়া মাথা খোঁড়ে। ভেতর ফায়ারপ্লেস নেশা নেশা।ফায়ারপ্লেস কাঁদে না কখনো। চিমনির সুরঙ্গ বেয়ে কান্নার ধোঁয়া আকাশের সাথে কথা বলে। কাচের টেবিলে কিছু সাজানো খাবার। হালকা গোলাপি মিউজিক। গোল হয়ে গল্প করে বেতের চেয়ার। ফীয়াঁসী সরল কাঠের সরলতা। চারপাশে ঘুরে ঘুরে নাচ হয়ে ওঠে, আগুনের শেষের কবিতা।
এইসব ভাঁজ খুলে খুলে,লুকিয়ে দেখেছি যাকে আজীবন তার নাম জীবন।
জীবনের মুখোমুখি একটা আয়না।সেই আয়না একসাথে পুরোটা দেখতে পায়। একটা গোটা জীবন কোলে তুলে নেয়। একটা পাতাও ফেলে রেখে যায় না।
জীবন, মৃত্যুর প্রিয়
খেলনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন