আছো,বর্ণমালায়
মধুমিতা চক্রবর্তী
ভাবো আমার সব লেখা তোমাকে নিয়ে, ভুল ভাবো
এককে নয় চিরদিন সমগ্রতে আছো।
আমি মানুষের কথা লিখি।
জীবনের পোড়াগন্ধ লিখি।
টানাপোড়েন লিখি।
এক নদী পেরিয়ে আরেক নদীর কথা
এক বনবিথী পেরিয়ে আরেক বনবিথীর কথা
একমুঠো ভাত আর রোদ্দুরের কথা
বিষাদ বর্ণমালার পান্ডুলিপি লিখি জীবনের অমনিবাসে
মানুষই তো মানুষকে চিরদিন ভালোবাসে
রাজশাহীতে
অলোক বিশ্বাস
আঁধারের পরাজয় হবে রঙ চায়ে।
পাখিরা বলছে, রঙ চা খুলে দেখো
বহুরৈখিক রসায়ন। চিহ্নক রোদ্দুর
আর চিহ্নিত ছায়া, চুমুকে দিন বদলের
আবদার দেখছে। মনওয়ালার রঙ চা
শিস দিলে, মায়া বেজে ওঠে বিশ্বাসে।
পার্কিং বাজারে মায়া। অভূতপূর্ব
রঙচাতক অবশেষ জানে না। বঙ্গবন্ধুর
দেশে রঙ চায়ে ছলকে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের
গন্ধ। বাস থেকে নেমে খুঁজি কোথায়
অন্যভাবের রঙচা বানাচ্ছে কাশীদা।
রঙ চায়ে পড়ি সুনামগঞ্জ।
রঙ চায়ে লেখা ঝিনাইদহ।
পূর্ণিমার নিচে রঙ চায়ের আড্ডায়
ভাষায় পুনর্জন্ম ঘটে যেতে পারে।
ঝলসে ওঠেপ্র
প্শারন্ত দেবনাথ
হেমন্তের ভোরবেলা স্বপ্নে পাওয়া কবিতার বইটি
আলো হয়ে পাশে ছিল, অচেনা রঙের মায়া যেন
কিছুদিন ভাসতে ভাসতে আশ্রয় নিয়েছিলাম এই
কাব্যের ছায়ায়, সেইথেকে কাঁটাঝোপে বসবাস
রণপায়ে যাওয়া-আসা অন্ধ এক শেয়ালের কাছে
মধ্যরাতে রোমাঞ্চিত শব্দ খোঁজা স্মৃতির ভিতর
শব্দ আলেয়ার মতো, শব্দ প্রতিদিন হাহাকার
পাঠায় সবুজ খামে, ঝলসে ওঠে লেখার টেবিল.....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন