গর্তের আলাপ
নিশ্চিত একটা গর্তের
মধ্যে এই আমার
পা ছড়ানো বিলাপগান।এর কোনো
আন্তরিক ভর নেই
আমি জানি।বোকা বলিরেখার কানায়
কানায় অভিজ্ঞতার পিঁপড়ে
মরে ভূত সেজে
সেঁটে আছে।আঙুলের ডানায়
ডানায় দিশেহারার হাওয়া।চোখের রোমাঞ্চে কোথাও
কোনো 'অবাক' লুকিয়ে
নেই।ব্যবহারের আধিক্যে গেছে
ফুরিয়ে।এমন অবস্থায় যেকোনো
বুড়ো নাবিক গড়িয়ে
পড়বেই ঢালে।ঝরঝর বালির
গুহায় মুখ এঁটে
রত্নাকর আর বাল্মিকী নয়-নিঃশ্বাস নিতে
তৈরি করবে গর্ত।গর্ত দিয়ে
ধরা আকাশ গালের
ওপর মেঘের ছোপ
দেবে।রোদ্দুর ঠেলে এসে
শুকিয়ে দেবে ক্ষত।বৃষ্টি এসে
নিয়ন্ত্রণ রেখার বাইরে
জানিয়ে যাবে উদার
এখনো সবুজ।মুক্তি এখনো
আলাপের মতো লোভী।তবু এ কলসে জল
দিতে দিতে বুঝি
মাটির জিভ বড়ো
গাঢ়,বড়ো গভীর।একফোঁটা তেষ্টাও বাঁচিয়ে রাখে
না শরীরে।ঝাঁকেঝাঁকে মেধাবৃত্তি আসে।ঠোঁটে রঙ
মাখায়।গহ্বরে খোঁজে আদিজন্মের আলো।আমি তাদের
নখে সংখ্যা লিখি।বুকে আগল
কাটি,আর তারপর
শামুক হয়ে যাই।ধীরে ধীরে
খোলস খামচে নেমে
যাই অতলান্ত একাকিনী সমুদ্রযাপনে।এভাবেই কাটছে
আমার প্রেমজীবন।সুখের যতো
কুচো পায়রা পাশের
বাড়ির ধানের খবর
দেয়-কখনো বা
হাঁড়ির।আমার কাছে লালাপথের আবদার
না মিটলে আবার
উড়ে গিয়ে বসে
সেই বাড়িরই দালানে।এভাবেই কাটছে
আমার অক্ষরজন্ম।নীল দাগ
লাল দাগে ভরে
থাকা কাগজে কখনো
আমি নিজে গিয়ে
বসি-উনুন ধরাই-গরম হয়ে
উঠি,কখনো কাগজ
আমার গা ঘষে
তুলে আনে তাপ-আলাপ-কেচ্ছা
আর কালি...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন