শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩

প্রথম দশকের কবি শুভ্রদীপ রায় - র মুক্ত গদ্য "সুভাষের সংলাপ"



 সুভাষের সংলাপ




 সুভাষ ঘরে ফেরেনা। সারারাত মরনকুঞ্জে বসে স্তোত্রপাঠ করে-- যেটা কবিতার মত কিছু একটা,কিন্তু ঠিক কবিতা নয়।আর তার কবিবন্ধুরা চিন্তিত আলোচনায় মেতে ওঠে।কোন শূন্যতায় গিয়ে দাঁড়ালে হারানো পূর্ণতা পাবি সুভাষ?


আমি জানি কিভাবে পলাশ সংলাপের শেষে ক্রুশবিদ্ধ হতে হতে প্রতিটা ক্ষতমুকুরে একশো আটটা বকুল ফুল ফুটে ওঠে।সে যাত্রাপথ আমার নিজের চোখে দেখা, আর সকলের মতই।  আমি জানি কয়েক ডিগ্রি দ্রাঘিমার হেরফেরে অনেকটা কুহকিনী বিষাদ মৃত আলেয়ার মত স্তিমিত কিন্তু চিরস্থায়ী  আলো যোগায় -- এ'সব গল্প সবাই জানেনা।কারন আমি কাউকে বলিনা ঠিক কোন মিলন বিন্দুতে পৌছে বকুল আর চাঁদবালিকা হাত ধরাধরি করে একাকার হয়ে যায়!


প্রাচীন সেই গুহ্য লিরিকাল ব্যালাড শুধু সুভাষ জানে কিংবা আমি। আর কেউ জানেনা কিভাবে একটা প্ররোচনা অবশেষে সম্পর্ক নামের ভাঙতে বসা এক বাড়ির আদল নেয়।অজস্র সার্ত্রে, বদলেয়ার,নিসিম এজেকিলের মাঝে আমাদের শরীর ও ছিল কোনো এক সান্ধ্যযাপনে। শুধু আমি জানি সেইসব তরলকথন।


নিতান্ত সংঘাতের বশবর্তী হয়ে ঘর ছাড়ে কেউ একজন-- আমি বা সুভাষ। তারপর তো সাহুর পাড়ে অলৌকিক নদীযাপন আর তরুশূন্যতায় খাঁ খাঁ জ্যোৎস্না বিলোকন। এসব আসলে আমার লেখার কথা নয়। আমার শরীর বিবরে বসে সুভাষই এ'সব লেখে।সুভাষ আরও লেখে কিভাবে পরপুরুষের হাতে চাঁদবালিকা এঁকে দেয় আদরের ক্ষত, কিভাবে পরপুরুষ নিজের চন্দ্রাহত জামা ছড়িয়ে দেয় প্রেমিকার দংশিত পিঠে। বিশ্বাস কর সুভাষ,আমি এ'সব লিখতে চাইনি। কিন্তু কোনো এক নট রিচেবল ঊষসী বোধহয় লিখিয়ে নিচ্ছে।


আমি জানি সবার অলক্ষে কোনো নদীসংলগ্ন দেহনগরের ছোট্ট কামরায় আরও অনেক গল্প লেখা হবে। সেই সমস্ত নীরব লিরিক লাইল্যাকের মত ফুটে উঠবে পরকীয়ার মহাপরিনির্বান স্থলে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উৎসব সংখ্যা -২০২৩ প্রচ্ছদ শিল্পী - রিন্টু কার্যী সম্পাদক- শৌভিক বনিক

  উৎসব সংখ্যা -২০২৩ প্রচ্ছদ শিল্পী - রিন্টু কার্যী সম্পাদক- শৌভিক বণিক উৎসবের আর মাত্র কয়েকটা দিন, একদম হাতে গোনা।  আর উৎসব  সংখ্যা ছাড়া উৎ...