শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩

মীরা আচার্য, পহেলী দে দীপান্বিতা রায় সরকার সুরুভি চট্টোপাধ্যায়









শব্দময় ঝর্ণার পাশে
মীরা আচার্য 


চাঁদ উঠেছে, অপরাধীর মত মুখ
পাহাড়ের ফটলে মৌচাক আছে
আজন্মার জমাট অন্ধকার,
সম্পর্কের উর্দি পরা একদল নর নারী
নৃত্যরত গাছের পাতায় নিম্ন পতন
সুবর্ণ মায়াজাল খোঁজে কিশোরী রোদে
আমি একা শব্দময় ঝর্ণার পাশে।।





টুকরো মানুষের ছায়া

পহেলী দে 


কেউ আমাকে প্রতিনিয়ত কেটে কুচিকুচি করে 
এবং ফালিফালি আমাকে নিয়ে রাতভর হেসে যায়
কাস্তে চাঁদের সাথে, 
খয়েরী রক্তে সাঁতার কাটে জল্লাদ রাত।
 
ফেলে রাখা চাকু চকচক করে অন্ধকারে 
যেন স্বর্গচ্যুত অপ্সরা  
প্রতিশোধের আতিশয্যে নেমে আসে
বালুকাচ্ছন্ন নদীর বিষাদে
উন্মাদ নৃত্যে ভেঙে যাচ্ছে জলের আরশি,
পাহাড়ের কান্না ও আমার অশ্রু 
নিম্নবর্গীয় ঘরের দেয়াল ভেঙে 
ভেসে যায় ছন্নছাড়া ভ্রমণে।

রক্তের উজানে হৃদপিণ্ডের টুকরোগুলো 
দাঁড়িয়ে থাকে; যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, 
শুকনো পাতার মতো হৃদয় উড়ছে বাতাসে
বিধ্বস্ত আমি বিস্রস্ত আমাকে কতবার কুড়িয়ে নিয়েছি
সোডিয়াম আলোর মৃদু কম্পন থেকে;
বেপরোয়া ঝড়ের বিপন্নতা হতে 
ঝিঁঝিঁর শব্দে বেজে যাওয়া ঘুমের ঘুঙুর হতে। 

আঙুলগুলোকে মনে হলো যৌবন হারানো ঝর্ণাকলম
কোনো কিংবদন্তি কবিতা লেখার মোহে
যারা অসংখ্যবার কাটিয়েছে বহুজাত বিনিদ্রতা,
খুলি ভেঙে ছিটকে পড়েছে মগজ 
যেন গোটাকতক আকাশ;  
উড়ে যাবার সমুদয় প্রস্তুতি নিয়ে 
পথ হারালো পাখিদের প্রলোভনে।  

ঠোঁট দুটিকে মনে হলো শেষ বসন্তের পাতা
তাচ্ছিল্যের শাখা হতে নীরবে ঝরে গেছে
                                    ধূলি ঝড়ে,
দুটি অক্ষিগোলক পড়ে আছে মেঝেতে
যেন ট্যাবুহীন পৃথিবী শুয়ে আছে চৈত্রের চিতায়।

এভাবেই কেউ আমাকে রোজ উপনীত করে 
অস্তিত্বের শেষ অংকে, 
রক্তাভ দৃশ্যে বিভক্ত আমার প্রতিচ্ছবি দেখে;
তুমি হেসে ওঠ অট্টহাস্যে 
এবং সিগারেটের আগুনে প্রেমের মুখাগ্নি করে 
সূর্যের সাথে সন্ধি কর ভিন্ন জানালার খোঁজে।
 


রাস্তা

দীপান্বিতা রায় সরকার 


মা ফেলে রেখেছিল অভিমান,
আমি তাতে জোড় ফোঁড় দেই।
রাতের আগুনে সেঁকি বিষন্নতা।

একাকিত্বের দায় ভার দিতে হয় না,
অতর্কিত সামনে দাড়ালে,
আগুনও পরম বিশ্বস্ততার শপথ রাখে।

মা রেখে গিয়েছিল ক্রমশ হেরে যাওয়া।
আমি তাতে প্ররোচিত  পা দেই।





ছায়ার সঙ্গ করি আমি 

সুরভী চট্টোপাধ্যায় 


উঠতে উঠতে উঠে গেছি… 

ছুঁয়ে ফেলেছি স্কাইলাইনের হৃদয়… 

অস্পষ্টতা আর কুয়াশার কম্বলে 

জড়িয়ে ফেলা এক পৃথিবী…

ভিতরে হদিস নেই কোনও জীবনতত্ত্বের…

  
মনে পড়ার গোপন দৃষ্টি দিয়ে 

হাত বাড়াই আকাশে 

ভোরেনি একমুঠো মেঘ… 

আক্ষেপের বুক পকেটে…

অবশ্য রাত আঁকড়ে স্বপ্নের সিঁড়ি ধরে  

গাছেরা ডেকে যায় আমায়…  

আর বাস্তবে ছায়ার সঙ্গ করি আমি…







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উৎসব সংখ্যা -২০২৩ প্রচ্ছদ শিল্পী - রিন্টু কার্যী সম্পাদক- শৌভিক বনিক

  উৎসব সংখ্যা -২০২৩ প্রচ্ছদ শিল্পী - রিন্টু কার্যী সম্পাদক- শৌভিক বণিক উৎসবের আর মাত্র কয়েকটা দিন, একদম হাতে গোনা।  আর উৎসব  সংখ্যা ছাড়া উৎ...