বিষণ্ণ রাত ঝড়ে যায়
বিষন্ন রাত ঝরে যায়, অস্থির বৃত্ত
থেকে প্রকাশিত আরেক বিন্দু রেখাঙ্কিত করছে শেষের আলোটুকু
উপস্থাপিত করার। ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় আরতি গাঁথা হবে সন্ধ্যা ঢলে এলে হলদি,কুমকুম আর কাঁচের চুড়ির রঙিন
শব্দে বর্মাহা লক্ষ্মীর আসন ফুল শহরের বাহারি ফুলে সাজানো হচ্ছে। আঙুলের স্পর্শে রংগোলির পূর্ণতা
নজর কাড়ে দক্ষিনী হাওয়ায়, তারই রিতী পেতে
সোনার গয়নায় নতুন
পোশাকে চুলে চুলে
জুঁই এর সুগন্ধি রাত
মায়াবী খোলে। আঁচল ভরে ওঠে ব্লাউস পিসে
মোড়ানো নানা উপহার
পুজার সাকগ্রিকে আন্তরিকতায়
বাড়ানো দুহাত । টুকরো করা সন্ধ্যায় অস্থির বৃত্ত ক্রমশ ঠেলে
ফুলে ফুলে পার্থনা রাখা আগামী পর্বে
তিথির হাসি লেগে থাক কপালের বিন্দিতে। দেখো নিরাপদ সিগন্যাল আগলে আছে শিশুর মায়ায়। অচেনা পায়ে
দৃষ্টি পেতে রাখি পাহাড়ি বৃষ্টি ভরা রাত নাইট ল্যাম্পে কেমন ঘন হয়ে আসে।
ঝর্নার জল চেয়ে
উড়ে আসা পাখি
নীল জানালায় মেঘ রোদ্দুরের গল্প শোনায়। জল কনায় মিশে
থাকে
আগামী আলোর আসা যাওয়া। অপ্রকাশিত ইচ্ছেরা আলোর
চোখে ঝরা পাতায়
খোলা রাতে আকাশের নিচে
দাঁড়িয়ে দেখতে চায় সমস্ত
হাহাকারের খসে পরা । হাল্কা হাওয়ায় যাতায়াতের চিহ্ন নির্মিত হয় কিন্তু
নতুন অধ্যায় খুললে পাল্টে যায় নির্মাণের ভাবনা। আকর্ষিত অন্ধকার জ্বালাতে জ্বালাতে ক্লান্ত হয় না
রাতঘুম, ভেতরের ঢেউ কাঠবেড়ালীর গতিতে ফিরে আসে আবার পাতার ফাঁকে
ফাঁকে হাড়িয়ে যায় কারন ভেঙে।
বালিয়াড়ি পেতে বসে থাকা
বিকেল জলবুকে ভাসে
সূর্যাস্তের মুখোমুখি। ডাকনামে সারা
দিক বা না দিক,
গ্যালারিতে বসে হাততালির শব্দ হোক বা চুপ ইশারা তবু নিশ্চিত হয় ঘুমের ভেতর
সুদীর্ঘ পথ।
স্কিনে দেখা বা শোনা আর নিজ ঘরে বাস্তবের সম্মুখীন হওয়ার
ব্যবধান যে কতটা
তা করোনাকালীন
অবস্থায় অনেকের জানা। প্রতিটা সম্পর্কের একটি মাইম্যাপ আছে একটা গল্প আছে যার আলোড়ন
ঘুমন্ত শহরে জেগে থাকে। নিজঘরে যখন কোভিড
রির্পোট পজেটিভ আসে চারপাশ কেমন ঝাপসা
হয়ে আসে
পরবর্তী ধাপে না এগনো
পর্যন্ত। ১৪ দিন মেয়ে,মা নারীর
শক্তি একত্রিত হতে থাকে অজান্তেই। এই
আতঙ্কের সময় অ্যাপার্টমেন্টে প্রায় ফ্ল্যাটেই কেউ না কেউ পজেটিভ হয়েছে এখানেও ব্যতিক্রম
নয়,ছেলে এক রুমে
দুদিন আগে আসা বাবা মা অন্যরুমে আরেকদিকে বীরেশ, আর আমি পজেটিভ –নেগেটিভ
এর দরজায় কড়া নারি
দিন রাত। অনেকেই বলে থাকে বা ঘটেওছে এই সময় কাছের পরিজনরাও পিছুপা
নিয়েছে কিন্তু ব্যাঙ্গালোরে নানা ভাষার প্রতিবেশীর মাঝে থাকি রাত ১২টায়
ওষুধ এনে করিডোরে দিয়ে
যেতে দ্বিধা করে নি। বিষণ্ণতার দেওয়াল ঠেলে
সবার সহযোগিতায় নানা মাধ্যামে খোলা শ্বাস
ছুঁয়ে থাক
মুক্ততির আলোয়।
রাজপথে নামা শ্রাবন পূর্ণিমায় কেঁপে ওঠে চেনা দৃশ্য। সারাটা দিনের বৃষ্টি থেকে
কিছু জল জমিয়ে
রাখছি
–কতরূপে শতরূপে মেঘ কবিতায় কতটুকু ভিজেছো প্রতিক্ষার পাতায় রাখা
বিন্দু বিন্দুতে তারই আভাস বয়।
ঋতুর আসা বা পরিবর্তন কোন না কোন বার্তা ছড়িয়ে দেয় নিবিড়ে তা তোলার
অপেক্ষা মাত্র। প্রিয় ধারায়
সফেদ চিত্র ডানা মেলে
রঙ ছবিতে ,কীবোর্ডে বা কাছের টিলা
থেকে নিজেস্ব ডায়েরিতে নিয়মিত বাজে
মিউজিক্যাল ফাউন্টেনে নানা ভাষার
রেন ড্যান্স।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন