এক.
দুই.
সামান্য রোদ স্প্রে করেছিল কেউ। খুব করে কাছে চাইলাম রূপের বিথার -- রোদ গন্ধ৷ রোদ গন্ধের জন্য একটা আসন৷ জেগে থাকা শব্দহীন বালব্ থেকে নেমে আসে ঠান্ডা আলো৷ কোথাও-বা ফোঁটায় ফোঁটায় জল পড়ার ছন্দ৷ রাতচরা পাখির ডানায় কুয়াশার আবর্ত । স্যাঁতসেঁতে গন্ধটা সাময়িক দূর হয় ঠাকুরপূজার ধূপকাঠিতে। কিন্তু মন? ভোর হয়ে গেছে ভেবে ভুল করে অলৌকিক ডেকে ওঠে পাখি৷ তারপর আবার নৈঃশব্দ্য৷ নদী তো ঘুমের ভেতরেও চলে, থামতে জানে না৷ তাই মৃত্যুর পরোয়ানার উল্টোপিঠে পরপারের আলোর বিজ্ঞাপন। তবু চোখে বালি৷ গতরাতের প্রিয় কবির কবিতা ম্লান হয়েছে কাঁচ-ভাঙা আলোয়। আমি ডায়েরির পৃষ্ঠায় ঢেউ আঁকলাম।পেছনে দুটো পাহাড়। পহরে পহরে আকাশ ভাঙে অটল দেউল।
তিন.
ছায়ার অন্ধকারে ডুবে
থাকা একটি বুকফাটা উদাসীন
পথ৷ এ পথ
যেন সময়সরণি বেয়ে
চলে গেছে ফাঁসির
ঘাট থেকে নবদ্বীপের বরালঘাটের দিকে।
সেখানে বাঁধানো পাড়ে
ছড়িয়ে আছে রাত্রির বিস্ময়। নিঃশর্ত জিজ্ঞাসার মতো
চারকোল সকাল। একটা
ঘাসফুল মাথা কুটে
মরে মূক যন্ত্রণায়। আর
মোম হয়ে যায়
মেঘ। আমার পরনে
ছাই আর ছায়ার
আলখাল্লা৷ নিজস্ব ঘুমে
মশগুল হলে দেখি
ভারমুক্ত স্বপ্নপথে ভেসে
যায় চিতাকাঠ -- আমার
অবিশ্বাসের ইমপ্রিন্ট। চোখে
লবণ, অলিন্দের উপর
কাঁপছে অপুর অবয়ব...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন