শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩

প্রথম দশকের কবি সুকান্ত দাস- র মুক্তগদ্য

 ম্যানিকুইন

 


এখন আস্তে আস্তে উৎসটা ধরতে পারছি। একটি  মা বেড়াল যেভাবে তার শাবকদের চিনিয়ে দেয় বাস্তবিক মুখ। দেখিয়ে চলে একের পর এক নিরাপদ আস্তানা। তারপর একদিন আড়াল হয়ে যায়। বড্ড প্রাসঙ্গিক এই মাতৃত্ব। রাস্তা হাঁটতে শেখার কথা বলা হল। নর্দমা দেখে চলছি। কোথাও বা চেনা ছকের ওয়াটারপাস। মতিনবিবি বলতেন চোখ ফোটেনি! আহা বাছা কত কষ্ট! সে আজ কবরের নীচে। সাথে তার সোহাগের সুরমা। আমি দেখে নিই হৃদপিণ্ডটা বাম দিকেই আছে! চা বাগানের প্রসঙ্গ আসে। চা বাগান লিখতে যাই। দেখি লোকজন ভিড় করে আছে। অনেক দেরি হয়ে গেছে।

মতিনবিবির ফোলা মুখটা মনে পড়ে। কত অভিশাপ করতে দেখেছি। নদীর বুকে যেভাবে বৃষ্টিজল এক ফোটা দু’ফোটা করে জমা হয়। সে বলত দেখ বর্ণময় ফাঁক। এভাবে ত্বরা গমন হয়। নৌকা চলবে। ভরে উঠবে নাব্যতা। বিদ্যুৎ গাছে চড়তে ভালোবাসে। গাছ মাটিকে। মাটি আমাদের। একপ্রকার সম্মানিত বোধ নিয়ে ভাবনা। ভাবা যায় হাতাহাতির তালিম নিচ্ছেন শব্দচাষিরা? ক্যারাটের বেল্টে রং আসুক। জিইয়ে রাখুক ঈগলের প্রখরতা। কে কি ভাবল তাতে দ্বিধা, সুধাপাত্র দেখালেও দ্বিধা, অমৃতকথা শুনতে ভয়। মাতব্বররা নবারুণ দেখিয়ে বলেন ভাবা প্র্যাকটিস করুন। এটা ভাষার গুমর। পাজল সল্ভের মতো গুটিয়ে দিচ্ছে আমাকে। আমার জাত নাই, পাত নাই, ডাইমেনশন নাই, উত্তরণ নাই .. আছে শুধু বিনম্রতা। ওয়াক থু!! লক্ষ্মীকান্ত অনেক কিছু লিখেছিলেন। বাবাও ‘সব মিথ্যা’ বলেও সাবধানী ভূমিকায় অসাবধানী হয়েছিলেন। দেখেছি দুর্লভ বলে জীবন্ত কোন পাহাড় লজ্জায় গড়িয়ে পড়ে না। সে আছে বলেই তো নীল বুঝি।

সব শেষ হলে পিয়ানো বাদক আসে। স্কেলে আলোড়ন তুলবে সবটা বেচে দেবার পর।

উত্তরবঙ্গ ঘুমিয়ে পড়বে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উৎসব সংখ্যা -২০২৩ প্রচ্ছদ শিল্পী - রিন্টু কার্যী সম্পাদক- শৌভিক বনিক

  উৎসব সংখ্যা -২০২৩ প্রচ্ছদ শিল্পী - রিন্টু কার্যী সম্পাদক- শৌভিক বণিক উৎসবের আর মাত্র কয়েকটা দিন, একদম হাতে গোনা।  আর উৎসব  সংখ্যা ছাড়া উৎ...