ম্যানিকুইন
মতিনবিবির ফোলা মুখটা মনে পড়ে। কত অভিশাপ করতে দেখেছি। নদীর বুকে যেভাবে বৃষ্টিজল এক ফোটা দু’ফোটা করে জমা হয়। সে বলত দেখ বর্ণময় ফাঁক। এভাবে ত্বরা গমন হয়। নৌকা চলবে। ভরে উঠবে নাব্যতা। বিদ্যুৎ গাছে চড়তে ভালোবাসে। গাছ মাটিকে। মাটি আমাদের। একপ্রকার সম্মানিত বোধ নিয়ে ভাবনা। ভাবা যায় হাতাহাতির তালিম নিচ্ছেন শব্দচাষিরা? ক্যারাটের বেল্টে রং আসুক। জিইয়ে রাখুক ঈগলের প্রখরতা। কে কি ভাবল তাতে দ্বিধা, সুধাপাত্র দেখালেও দ্বিধা, অমৃতকথা শুনতে ভয়। মাতব্বররা নবারুণ দেখিয়ে বলেন ভাবা প্র্যাকটিস করুন। এটা ভাষার গুমর। পাজল সল্ভের মতো গুটিয়ে দিচ্ছে আমাকে। আমার জাত নাই, পাত নাই, ডাইমেনশন নাই, উত্তরণ নাই .. আছে শুধু বিনম্রতা। ওয়াক থু!! লক্ষ্মীকান্ত অনেক কিছু লিখেছিলেন। বাবাও ‘সব মিথ্যা’ বলেও সাবধানী ভূমিকায় অসাবধানী হয়েছিলেন। দেখেছি দুর্লভ বলে জীবন্ত কোন পাহাড় লজ্জায় গড়িয়ে পড়ে না। সে আছে বলেই তো নীল বুঝি।
সব শেষ হলে পিয়ানো বাদক আসে। স্কেলে আলোড়ন তুলবে সবটা বেচে দেবার পর।
উত্তরবঙ্গ ঘুমিয়ে পড়বে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন