দীর্ঘনিশ্বাসের আগে...
কাপড় কাচতে গিয়ে দম ওড়ে। গন্ধ আসে ছেঁড়া জামা, দুরকম চটির নুন জল। অসুস্থ পশম দিয়ে সোয়েটার বানিয়েছে যে সেবিকা, সে জানে আয়তক্ষেত্র শুধু জ্যামিতিতে বাঁচে না।ঘর জুড়ে ডেটল জল অঙ্ক বইয়ের সহিস হয়ে ওঠে কখনো।কখনো গলা ভাতে ঝুঁকে আসে তাজমহলের নরম। গোপন যা কিছু মহরত তার অতিথি হবে বলেই পর্যটক এখনো বিসমিল্লাহ দ্বিজেন্দ্ৰ গানে চোখ এঁকে রাখে। একটা তাকানো থেকে দেখা অব্ধি যতদূর দাগ টানা যায়, জীবন নাকি ততটাই জামা খুলে রাখে। উৎপাদিত ক্লাস থেকে রঙ ছুঁড়ে দিলে বসন্তের নাচঘর ফেরি করে সময় নামক এক অমীমাংসিত কাব্যগ্রন্থ।
দেশভাগের মাটির হাঁড়িতে কত জোতস্না চুষে নিয়েছে চোখ জল।কাজল বেঁকে গেছে মধ্যরাতের শেষ ট্রেনের দিকে। পারাপারের আয়োজন বেদনার ঘুঙুর দেখেছে।দেখেছে মাটির শেষ ধুকপুক।খেয়া পারাপারে যে নাবিক কুলুঙি ভরে ইতিহাস রক্ষা করে আসছে,তাঁর কাছে ছায়াপথ কম পড়ে যায়। দোষ দিতে দিতে দেওয়ালে চিহ্ন গেঁথে দিয়ে খেলা শেষ হয়।শুরু হয় কম পয়সার কেরানি ও সেলাই মেশিনের দপ্তর। সমস্ত পাশের সার্টিফিকেট ভোরের স্টোভের সাথে পুড়ে গেছে কত দিন।এখনো ছাই ছাই ইতিহাস তোষকের তলায় গল্প করে রোজ।এখানে ওখানে একই নদীর ছেলে মেয়ে বেলা।চুক্তি ভরা ঢেউ, জানে কেউ কেউ। কেউ জানেই না ভাগ হতে হতে কত ছোট হয়ে যাচ্ছে মাথা।
আপাতত সম্পর্কের ধুলোবালি এলার্জির গর্তে। ধুয়ে মুছে সাফ হলো যে রাতসেক্স,স্যাক্সোফোন সুরে গুছিয়ে নেবে।এড়িয়ে চলার হকিকত জানে বলেই বই প্রেমিক অস্বীকারের মন্ত্র ও জানে। মন্ত্র জুড়ে হেরে যাওয়ার মানপত্র দাঁত খোঁচায়।মুখোমুখি দাঁড়ানোর জন্য কাঠামো দড়ি হৃদয়ের ধুম ও লাগে। এসবের বাইরে উঁচু বিদ্রুপ,তাজা অপমান। অবশেষে চিঠির মত দেখতে প্রেমিকা ব্রার ভাঁজে গুঁজে দেয় অতীত সেফটিপিন।
ভালভাসা ও ছলাৎ ছলের অভাবে কত মাছ ফুরিয়ে গেছে দীর্ঘনিশ্বাসের আগে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন