শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩

কবিতা - শুভঙ্কর পাল ওয়াহিদা খন্দকার দেবযানী ভট্টাচার্য দেবমিত্রা চৌধুরী


 

আলোর মিছিল 

শুভঙ্কর পাল


সারি সারি আলোর মিছিল 
শব্দের প্রক্ষেপণ ভেঙে নেমে আসে শান্তির দূত
পাহাড়তলীর জমিনে এখন নতুন ধানের শীষ
ধাপ অতিক্রমনে চায়ের গন্ধ 
কথার খোলে সুই মুন্ডার গলায় বুনো ফুলের মালা 
বাদামি ফড়িং আর এই অক্ষর শ্রমিকেরা কবিতার মায়াজালে
তির তির জলের ভিতর সংসার ও যাপনের ঝিঙে ফুল





পান্তাভাত ও ফুরিয়ে যাওয়ার গল্প  

ওয়াহিদা খন্দকার 


রাতের ভাত ফেলি না, বড় মায়া হয় 
পান্তাভাতের জলটাও বেশ সুস্বাদু 
মনেপড়ে বিগত জীবনের ভাদ্রের দুপুরের কথা 
আর কিছু তৃষ্ণার কথা । 
চাষা তীব্র রোদে আলে বসে কীভাবে শুষে নিয়েছিল
পান্তাভাতের রস। 

মনেপড়ে সামনের আদিবাসী গ্রামে 
পান্তা চুঁইয়ে কীভাবে ফোঁটা ফোঁটা মদ 
নেমে এসেছিল গলা অব্দি 
উন্মত্ত নাচে ছমিয়া নামে আদিবাসী যুবতী 
নিজের খিদেকে রটনা করেছিল 

জানি তুমি ভাবছ 
সকাল হলেই তো ভাত ফুটবে জুঁই ফুলের মতো 
স্বাদ-সুগন্ধি আনবে... 
ভেতোজলের আহারে বুনোফুল ফোটাব কেন?




স্মৃতির ভগ্নাংশ 

দেবযানী ভট্টাচার্য


মনে করো ---
শরীর জুড়ে লেগে আছে স্পর্শ তাপ, 
মোহের বন্ধন,নেশায় আচ্ছন্ন দৃষ্টি,
মুঠো ভর্তি করবী ফুলের সুবাস,
ভয়ঙ্কর দিশাহারা দ্বিপ্রহর!
চিলেকোঠা জুড়ে গোধূলির সন্ত্রাস,
সমূহ সর্বনাশ লিখছে দুটি দগ্ধ সত্তা।

স্পর্শহীন ---
অনন্ত দহন - তাপ বুকে নিয়ে বসে আছি ,
তুমি কি আর আসবে কোনোদিন এভাবে অনন্ত অপেক্ষার কাছে ? 
লিখবে অনন্ত আয়ু।





বিসর্জন

দেবমিত্রা চৌধুরী


আমার স্মৃতির ঘরে ছায়া
উন্মোচন করার মতো স্বপ্ন নেই আর

যে মুখের অনুপস্থিতি এত বেশি 
তার প্রতি সর্বোচ্চ অনুভূতি আসে।
সে যখন স্থাপনার চিহ্নগুলো ভেঙ্গে, ভঙ্গিমাকে ভেঙ্গে
উভচর গানের ভাষায় নেচেছিল
নাচের জন্ম তখন আলো আর তরলের খেলা

যদিও শোকের কোনো চিকিৎসা নেই, তবু
চলে গেলে আলো রেখে যেও - যা তোমার বিদায়ের চেয়ে ভালো, 
তোমার থাকার চেয়ে বেশি কিছু আরও...














কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উৎসব সংখ্যা -২০২৩ প্রচ্ছদ শিল্পী - রিন্টু কার্যী সম্পাদক- শৌভিক বনিক

  উৎসব সংখ্যা -২০২৩ প্রচ্ছদ শিল্পী - রিন্টু কার্যী সম্পাদক- শৌভিক বণিক উৎসবের আর মাত্র কয়েকটা দিন, একদম হাতে গোনা।  আর উৎসব  সংখ্যা ছাড়া উৎ...