|
কবি ও গদ্যকার দেবজ্যোতি
রায় |
দুটো রাতের পেষণে চ্যাপ্টা দিনটাকে ঠেলতে ঠেলতে ক্লান্তিতে একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন একটা রামছাগল। নিপুণ অভ্যাসে জনৈকা রেভলন সুন্দরী গালের ভাঁজে খানিকটা খৈনি গুঁজে দিলে তার বক্ষ নিতম্ব থাই বৃক্ক খৈনি ও বয়ঃসন্ধির সম্মিলিত সুরে বাসের মধ্যেই আমার যুগপৎ বিশ্বরূপদর্শন ও চূড়ান্ত বীর্যপাত ঘটে গেল। পার্লামেন্টে তখন শুকরীদের জন্যও গর্ভনিরোধক আবশ্যিক কিনা তাই নিয়ে বিরোধী ও সরকার পক্ষের সদস্যরা পরস্পরের দিকে হাত-পা,বাক্য-অবাক্য,চেয়ার-টেবিল,কাগজপত্র,জামাকাপড়,কফ-থুতু,ঘটি-বালতি,মদের গ্লাস-জলের বোতল,মল-মূত্র,বীর্য ও মিন্স,চুমু ও চোখ টেপা যাকিছু হাতের কাছে সহজ ও সুলভ,এইসব প্রবল আর্তি ও আর্তনাদ,বৈরিতা ও ঐক্য,মুগ্ধতা ও শিহরণের মধ্যে টিভি ক্যামেরার সন্মুখেই জনৈক পুং সদস্যের আচমকা গর্ভপাত হয়ে গেলে মাননীয় স্পিকার স্যার সেদিনের মত সভা,জট তাতেও খোলেনি যেহেতু সরকার নিয়োজিত তদন্ত কমিশনের দশটি প্রমাণ সাইজের ট্রাঙ্কভর্তি নিরলস বাতকর্মেও একথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল যে,অধুনা এই দেশে শুয়োরের বাচ্চাদের তীব্র সংখ্যাধিক্য ঘটেছে এবং সবদিকেই তারা বহাল-তবিয়ত,খুশবুদার,একটা বিশালাকৃতি ষাঁড়ের ইতোমধ্যে বাজারের চওড়া গলিতে,বিষণ্ণ সুন্দর ভিনদেশি গাভীদের গোবর মসৃণ,বে আব্রু,পুরুষ্টু নিতম্বের দিকে শিশ্ন উঁচানো তেড়ে যাওয়া নিয়েও জম্বুদ্বীপের নেতা ধর্মাধিকারী ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ,বিবৃতির লড়াই,দিস্তাদিস্তা কাগজ,সইসাবুদ,চুকিৎকিৎ,গোল্লাছুট,দেওয়ানি-ফৌজদারি ইত্যাদি শুরু হয়ে গেল।
বেড়ালের থাবা থেকে তখন শাদা জ্যোৎস্নাটা লাফিয়ে নামতেই আমাদের প্রাগুক্ত রামছাগলটার প্রথমে খিঁচুনি হল ও পরে কপালে তিনটি গভীর ভাঁজ পড়ল। পকেট থেকে বিড়ি বের করে তারপর উল্টোদিকে ফু দিয়ে জ্বালিয়ে শুন্যে একরাশ ধোঁয়া ছুঁড়ে দিলেন তিনি।
--- জ্যোৎস্নাটি টুঁটি কামড়ে ধরবার আগে শুধু বলে যেতে পারলেন,--- 'হুম'। ভিসেরা ঘেঁটে সেটুকুই ধরা পড়েছে।
পুনশ্চ : 'হা ঈশ্বর ! পোতিষ্ঠান আমাদের শেষ জ্ঞানীটিকেও খুন করে এখন তার মূত্তি বসাচ্ছে !'
--- জম্বুদ্বীপের জনৈক গ্রামবাসীর ভয়ার্ত বিস্ময়োক্তি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন