আজ এই প্রভাতে আমি অভিট রিপোর্ট পেশ করছি
আমার একটি ভবঘুরে মন এবং একটি কবিতা প্রবন হৃদয়
আয় ও ব্যয় মেলাতে পারি না
ফলত লসে রান করে এ জীবন
আমার স্থাবর সম্পত্তি বলতে আকাশ নদী ও
এ পাড়া ও পাড়া ঘুরে বেড়ানো এক কবিতার নেশা
পাপ দুএকটাতো করেছি হয়তো
পূণ্য করতে এখন ভীষণ চাই
ঈশ্বর তোমার কাছে না মেলা অডিট রিপোর্ট আজ পেশ করি
আমাকে পূণ্য সষ্ণয়ের ট্রেনিং দেওয়া হোক
পশু পাখি খাওয়ানোর একটা ফান্ড দেওয়া হোক
আর একটা মন দেওয়া হোক যাতে তোমার ইচ্ছার কথা
মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারি
জীবনের অডিট যেন ঠিকঠাক পেশ করতে পারি
পরিযায়ী
রোজ সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত রাত দশটা পর্যন্ত মা
বাড়ির সামনে ছোট্ট বারান্দায় বসে থাকে
একদম চুপচাপ,
আমি ঘর থেকে মাঝে মাঝে আড়চোখে দেখি
এই নিস্তব্ধতা প্রকৃতির মতো
আমি বউকে চুপিসারে বলি,,তুমি এই নিস্তব্ধতার রঙ চেনো কি?
সে শ্রমিক সন্তান সম্ভবা বউ কে ট্রলি তে চাপিয়ে
টেনে টেনে ছুটছে হাজার মাইল হাঁটবে বলে
তার রঙ তুমি জানো না কি?
কর্পোরেট জীবন থেকে শতাব্দী প্রাচীন এই দৃশ্যপটে
এক ভারতবর্ষ আছে যা ভাওয়াইয়া গানের মতো শ্বাশত
এই মা পর্ণকুটিরের আর ওই শ্রমিক ভাইয়ের ট্রলির চাকা চিরন্তন সভ্যতার
কোনো সেকেন্ড কামিং এসব ধ্বংস করতে পারে না
কবিতা
কোয়ারিন্টিন সেন্টার থেকে কবিতা উঠে আসে
করোনা বিধ্বস্ত মুখ থেকে কবিতা উঠে আসে
আম্ফান কবলিত হৃদয় থেকে উঠে আসে অসহায় কবিতা
পরিযায়ী শ্রমিকের চোখ থেকে উঠে আসে কবিতা
কুমার গ্রামের নদী থেকে উঠে আসে কবিতা
কবিতাতো চোখের জল, সনাতন
কবিতা তো মরমী হৃদয়ের পরিস্রুত মায়া
কবিতা তো স্টেরয়েড ভাবনার শব্দগুচ্ছ নয়
এতো কবিতার ভার তুমি নিতে পারবে সনাতন?
করোনা কাল
এই মায়া গ্রহে এক করুণ সানাই বেজে যাচ্ছে সনাতন
পরিযায়ী মানুষ পরিধি- মানুষ
সবার বুকে দুঃখের বরফ
যেন হু হু এই কেঁদে উঠবে এবার
আমার বাপ জন্মে এমন দেখি নি
তোমার হৃদয়-ওয়েবসাইট খুলে দেখো সনাতন
মানুষের অশ্রু অক্ষরে লেখা কত চিঠি
এই বাংলার এই ভারতের দুঃখী মানুষের হৃদয় পুরে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন