শীত যুবতীরা উড়ে যাচ্ছে
তোমার কথা মনে পড়লে, আমি অনেক দিন বোবা হয়ে থাকি। কারো সঙ্গে কথা বলি না। যেনো জন্ম থেকে তীব্র একাকীত্ব আমার। তুমি উপহাস করেছো, আমি প্রতিবাদ করিনি। বালিশে মুখ গুঁজে পড়ে থেকেছি। বিছানায় একটানা ঘুমিয়ে থেকে অসুখ অনিদ্রায় পড়েছি। শুনেছি বালিশের ভেতর তুলোর আর্তনাদ। মোহের গর্ত ভরে উঠছে আগুনে। তুমি করুণে সুরে প্রার্থনা করেছো, তোমার প্রেম আমাকে মানুষ থেকে পাথর বানিয়ে দিক এবং আমার মৃত্যুতে যেনো কোন ভায়োলিন না বেজে ওঠে। তুমি এতোদিন যা চাওনি, তাই হবে। আমি কত যে অভিশাপ কুড়িয়ে বেড়িয়েছি জীবনভর, তার সামান্য অংশ তোমাকে দেবো, স্থির হও। এই যে অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছো আর আমি পতনের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছে যাচ্ছি। তুমি দেখতে পাচ্ছো, পাহাড় থেকে শীত যুবতীরা উড়ে যাচ্ছে গ্রীষ্ম যুবকের কাছে।
তোমার সমস্ত প্রহসনঃ
তোমাকে একবার দেখলে পেলে আমি নিশ্চুপ হয়ে যাবো। কোন শব্দ ও হাহাকার ছড়াবো না।দু-পা আগুনের চুল্লিতে ডুবিয়ে কতোদিন বসে আছি। শিশুরা হামাগুড়ি দিতে গিয়ে বৃদ্ধ হয়ে যায়। মৌমাছিদের দেখি মধু সংগ্রহের প্রক্রিয়া দেখি, এরা রাণীর আদেশে ফিরবে ঘরে। এরপর তোমাকে বলি, এমন ভেঙ্গে-চুড়ে ভালবেসেছি আর ফিরতে পারছি না। তোমার সমস্ত প্রহসনকে মনে হচ্ছে আমার সামান্য ক্ষতি।
যেনো জুলাই মাস সমস্ত পৃথিবীর জন্যে আর্শীবাদ। শরীর যেনো দীর্ঘতম সেতু থেমে আছে স্রোতের বিপরীতে। আমি তোমার জন্যে আর কতটুকু অপেক্ষা করবো। জানো তো, কোন মাছ নদীর জন্যে শোক করবে না। কোন গাছ শেষ পর্যন্ত বিলাপ করবে না, করাতে কাটা মানুষের জন্যে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন