কবি শ্যামলী সেনগুপ্ত |
লকডাউনের দিনলিপি
ঘর সেজে উঠেছিল বটের ঝুরির মতো
প্রশস্ত ডাল থেকে নেমে আসছিল স্তম্ভমূল
এতদিন হালকা বাঁধনে বেঁধে থাকা
গ্যাসীয় মলিক্যুলের মতো ঘর
বেশ বেঁধেবেঁধে জিরিয়ে নিচ্ছিল যেন
গানগল্পে মজলিশী চায়ের মধ্যে ধীরেধীরে
মনখারাপের সেডিমেন্ট জমে ওঠে
টলটলে সুগন্ধী লিকারে
অনেক অনেক পায়ের ছায়া পড়ে..
একদিন তেকোণা পরটা বেলতে গিয়ে
মাদী বেড়ালটা দেখতে পায়
মাইক্রোস্কোপিক সেন্টিপীড আর
মিলিপীডের মার্চপাস্ট..
যেদিন ঘরের ভেতরে খুলে গেল প্রাচীন দেরাজ,
খকখক কাশির সাথে কাঁপা সুরে কেউ
জানতে চাইলো বটবৃক্ষের আসল মূলের রূপকথা ---
মানুষগুলো ভাগ ভাগ হয়ে যাচ্ছিলো..
ঘরের জানলা থেকেই একজন
দেখতে পেল কষ্টের পিক্টোগ্রাফ্, আহা !
কারও মনে পড়লো ১৯৪৭/৪৮বেনাপোল
কেউ দন্ডকারণ্য বানানটি দেখবে বলে
অভিধান টেনে নামালো..
শুধু ঝুরির নীচে দাঁড়ানো
বটফলের মতো মেয়েটা ভাবতে বসলো
কাল কী রাঁধবে !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন