গোপন -
অনুচ্চারনগুলো উষ্ণতার শূন্যাঙ্ক ছুঁয়ে ফেললে
ক্রমে তারা কথার
পাহাড় গড়ে। সাদা পৃষ্ঠারা
সূর্যের গতিবিধিতে রঙ পাল্টায়ে
কয় ঘুমন্ত বুদ্ধের
আশ্চর্যগাথা। শীতে গাঁদাফুল ফোটে। অনুচ্চারনের জন্যে মালা
গাঁথা হয় না। বিভাজিত
হতে পারে এমন
কোন কোষ কথাদেরও নেই। নেইকোষী অবয়ব হলেও
কথাদের পেলব অযত্ন
ঘিরে থাকে পৃথিবীর
সমগ্র ঘুঘু ডাকা
ভোর। যৌন-অযৌনতায়
নিমজ্জিত স্তন থেকে
উড়ে যায় ছায়াপথ। রেণুময় পরে থাকে উদয়ের
অসম্ভব মন্থন। লহর বদলে
বদলে গ্লেসিয়ার চলতে থাকে। চলমান বরফ
নদীর মত অথচ
নদী না। কেন না, সেখানে
পারাপারের
জন্যে দাবি ওঠে
না “কানের সোনা”। কথারা যেহেতু
ছায়াহীন শূন্যস্থান তাই মরিবার
তরে মথজন্মের প্রয়োজন হয়। শব্দহীন বিভ্রান্তির প্রজাপতি হয়ে উড়ে
যায় না অনুচ্চারন। মথেরা
অন্ধকারের চাদর মুরিদিয়ে
বরফ হয়েই থাকে
অনন্তকাল। কে জানে
অন্ধকারের উষ্ণতা? অন্তরালের
উষ্ণতা কে কে
জানে?
ইচ্ছের গান শুরু হলে ইচ্ছেরা উদাসীন পেখম। পাল্টা গান নিয়ে আসে। "তুঁ হি রে, তেরে বিনা" থেকে চলে আসে,“ফির লে আয়া দিল”। বাকি রয়ে যায় মানুষের আধুরি সংকলন। হয় না কি? হয় তো ... শেষ অবধি কোন উষ্ণতার পাখনা এই বরফের গলনাঙ্ক জানতে পারে না, চায়ও না। খামসিগুলো বোবা অক্ষর হয়ে রয়ে যায়। কখনও পায়ের কাছে লুটোপুটি খায়, হোঁচট খাই। কখনও পরম আদরে পশমে আঙ্গুল চালিয়ে দেই কোলের উষ্ণতা। আমাদের হৃৎপিণ্ড থেকে উষ্ণতা চুরি যায়। মূর্খ স্বপ্নের বিড়ালবিচরণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন