যখন সেজে ওঠে চারদিক
সকাল
থেকেই
শুভময়দা, গৌতমদার তিস্তার কাশবনে ছবি পাচ্ছিলাম ফেসবুকে। অনিন্দিতাদি, রম্যাণি-কেও দেখলাম একই লোকেশনে। না,আমার এখোনো যাওয়া হয়নি। তবু প্রতিদিন যাতায়াতের পথে মাথার ওপরের নীল আকাশ-তাতে ভেসে বেড়ানো মেঘ বা ক্লাস নিতে নিতে জানালা দিয়ে চোখ চলে যায় পাশের সবুজ মাথা দোলানো ধানক্ষেতে-তাতে কচি ধানের শীষ মনকে নিয়ে যায় যেন কোন সুদূরে। আজ সকাল থেকে বেশ ঝলমলে রোদেরই দিন ছিলো, মাঝেমধ্যেই দামাল বাতাস ঘরে ঢুকে পড়ছিলো হুড়মুড়িয়ে। কি যে হল দুম করে দুপুরবেলার পর থেকে আস্তে আস্তে চারিদিক কালো করে এলো,ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করলো। বুঝলাম দূরে কোথাও তিনি নেমেছেন,তার হিমেল পরশ বেশ ভালোই টের পাচ্ছিলাম গায়ে মুখে। অবশেষে বিকেল যখন গিয়ে মিশছে সন্ধ্যায় ধীরে ধীরে, ব্যালকনি থেকে দেখছি দূরের কালো আকাশ দিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে কালো বকের সারি,তখনই বৃষ্টি নামলো আমাদের শহরে। ভেজা ভেজা হল পথঘাট,বাড়ির পথ ধরলো সবাই, সময়ের একটু আগেই আজ সন্ধ্যে পেরিয়ে অন্ধকার নামছে রাতের-দেখি অচেনা নম্বর থেকে ডাক আসছে মুঠোফোনে। ধরলাম,রাজার শহর থেকে শৌভিক-লেখা দাও। কি আনন্দ-কি আনন্দ।আমার সকল নিয়ে বসে আছি তো এই জন্যই। এমন করে কেউ লেখা চাইলে কি ভালোই না যে লাগে,ভেসে যাই। শব্দ-বাউল পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ বের হচ্ছে মহালয়ায়-তার জন্য কবিতা অথবা গদ্য। এই তো লিটল ম্যাগের টান-এর জন্যই তো লিখতে আসা-এই ভালোবাসা এই জগতের বন্ধুরা ছাড়া আর কেই বা দিতে পারে। শুভঙ্কর ওর করিডোর খুলে ডাকে সেই বারোবিশা থেকে-এখন শমিক ডাকে কৃষ্ণনগর থেকে-জলশহরের প্রবীরদা ফোন করে সকাল সকাল-মনে হয় এই জন্যই তো বেঁচে আছে, বেঁচে থাকি। অনেক দিন আগে জলশহর থেকে দুম করে কালাশনিকভ পত্রিকা বের করেছিলো কৌশিক –দীপঙ্কর-রণজিত, ওদের আজ লেখালেখিতে দেখতে পাই না। লিটলম্যাগ লাইব্রেরী খুলেছিলো ওরা, সন্দীপ দত্ত মহাশয় এসেছিলেন। কিন্তু এটাই লিটল ম্যাগ, এই হুজুগ-এই মেতে ওঠা-রাত জেগে প্রেসে সবাই মিলে পত্রিকা প্রকাশ। বছরের এই সময়টায় যখন নিজে থেকেই সেজে ওঠে চারদিক-গ্রাম থেকে আসা বাচ্চা ছেলেটা বাবার হাত ধরে তাকিয়ে থাকে শহরের জমকালো আলো ঝলমলে দোকানগুলির দিকে-আর শহরের রাস্তাগুলি ভরে যায় সুন্দরী তন্বীদের পদচারণায়-তখন এই রিদম থেকে, এই ভাউব্রেশন থেকে লিটল ম্যাগই বা পিছিয়ে থাকে কি করে? ভালোবাসার শব্দে-অক্ষরে-কবিতায়-গদ্যে-গল্পে সেজে ওঠে পত্রিকা। হৃদয়ের তন্ত্রীতে টান দিয়ে আরো একটু বেঁচে থাকি আমরা সবাই।
শুভময়দা, গৌতমদার তিস্তার কাশবনে ছবি পাচ্ছিলাম ফেসবুকে। অনিন্দিতাদি, রম্যাণি-কেও দেখলাম একই লোকেশনে। না,আমার এখোনো যাওয়া হয়নি। তবু প্রতিদিন যাতায়াতের পথে মাথার ওপরের নীল আকাশ-তাতে ভেসে বেড়ানো মেঘ বা ক্লাস নিতে নিতে জানালা দিয়ে চোখ চলে যায় পাশের সবুজ মাথা দোলানো ধানক্ষেতে-তাতে কচি ধানের শীষ মনকে নিয়ে যায় যেন কোন সুদূরে। আজ সকাল থেকে বেশ ঝলমলে রোদেরই দিন ছিলো, মাঝেমধ্যেই দামাল বাতাস ঘরে ঢুকে পড়ছিলো হুড়মুড়িয়ে। কি যে হল দুম করে দুপুরবেলার পর থেকে আস্তে আস্তে চারিদিক কালো করে এলো,ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করলো। বুঝলাম দূরে কোথাও তিনি নেমেছেন,তার হিমেল পরশ বেশ ভালোই টের পাচ্ছিলাম গায়ে মুখে। অবশেষে বিকেল যখন গিয়ে মিশছে সন্ধ্যায় ধীরে ধীরে, ব্যালকনি থেকে দেখছি দূরের কালো আকাশ দিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে কালো বকের সারি,তখনই বৃষ্টি নামলো আমাদের শহরে। ভেজা ভেজা হল পথঘাট,বাড়ির পথ ধরলো সবাই, সময়ের একটু আগেই আজ সন্ধ্যে পেরিয়ে অন্ধকার নামছে রাতের-দেখি অচেনা নম্বর থেকে ডাক আসছে মুঠোফোনে। ধরলাম,রাজার শহর থেকে শৌভিক-লেখা দাও। কি আনন্দ-কি আনন্দ।আমার সকল নিয়ে বসে আছি তো এই জন্যই। এমন করে কেউ লেখা চাইলে কি ভালোই না যে লাগে,ভেসে যাই। শব্দ-বাউল পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ বের হচ্ছে মহালয়ায়-তার জন্য কবিতা অথবা গদ্য। এই তো লিটল ম্যাগের টান-এর জন্যই তো লিখতে আসা-এই ভালোবাসা এই জগতের বন্ধুরা ছাড়া আর কেই বা দিতে পারে। শুভঙ্কর ওর করিডোর খুলে ডাকে সেই বারোবিশা থেকে-এখন শমিক ডাকে কৃষ্ণনগর থেকে-জলশহরের প্রবীরদা ফোন করে সকাল সকাল-মনে হয় এই জন্যই তো বেঁচে আছে, বেঁচে থাকি। অনেক দিন আগে জলশহর থেকে দুম করে কালাশনিকভ পত্রিকা বের করেছিলো কৌশিক –দীপঙ্কর-রণজিত, ওদের আজ লেখালেখিতে দেখতে পাই না। লিটলম্যাগ লাইব্রেরী খুলেছিলো ওরা, সন্দীপ দত্ত মহাশয় এসেছিলেন। কিন্তু এটাই লিটল ম্যাগ, এই হুজুগ-এই মেতে ওঠা-রাত জেগে প্রেসে সবাই মিলে পত্রিকা প্রকাশ। বছরের এই সময়টায় যখন নিজে থেকেই সেজে ওঠে চারদিক-গ্রাম থেকে আসা বাচ্চা ছেলেটা বাবার হাত ধরে তাকিয়ে থাকে শহরের জমকালো আলো ঝলমলে দোকানগুলির দিকে-আর শহরের রাস্তাগুলি ভরে যায় সুন্দরী তন্বীদের পদচারণায়-তখন এই রিদম থেকে, এই ভাউব্রেশন থেকে লিটল ম্যাগই বা পিছিয়ে থাকে কি করে? ভালোবাসার শব্দে-অক্ষরে-কবিতায়-গদ্যে-গল্পে সেজে ওঠে পত্রিকা। হৃদয়ের তন্ত্রীতে টান দিয়ে আরো একটু বেঁচে থাকি আমরা সবাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন