পাঠ
প্রতিক্রিয়া
|
স্মৃতি ধূসরতার আড়াল ভেঙে কবি ফিরতে চাইছেন ডাকনামে ।।
প্রতিটি মানুষ অস্তিত্ব সন্ধানী। সেই অস্তিত্বই নিজের নাম। স্বতন্ত্র পরিচয় । কবি ফিরতে চেয়েছেন সেই স্বতন্ত্র পরিচয়ে। কবি পাপড়ি গুহ নিয়োগীর চতুর্থ কবিতার বই " ফিরতে চাই ডাকনামে "। " অভাগীর স্বর্গ " এ আমরা দেখেছি ষোল বছরেই কাঙালী কেমন বৃদ্ধ হয়ে উঠেছিল। ঠিক সেই ভাবে আঘাত মানুষ কে পরিণত করে অভিজ্ঞ করে... ' সম্পর্ক, বহুবার মাঝপথে ছেড়ে গেছে '
.. ( অপেক্ষা) কবিও সম্পর্কের সংসারের জটিলতা ভাঙতে ভাঙতে " স্তব্ধতা " আয়ত্ত করে নিয়েছে ' সম্পর্ক শেষ হওয়ার আগেই / গুছিয়ে নিয়েছি ' ( স্তব্ধতা) । পরের কবিতাই " ফিরতে চাই ডাকনামে" যেখানে কবি ' প্রাচীন ক্যালেন্ডারের গা থেকে উঠে আসে / থ্যাঁতলান লিপস্টিক । সিঁদুর..... / ' অতৃপ্তির ঢেকুর তোলে... ' / ... এই কবিতাটি দীর্ঘ কবিতা। এই কবিতার মধ্য দিয়ে শুধু মানুষের অস্তিত্ব সংকট ধরা দেয় নি এখানে প্রকৃতি - 'বন্যপ্রণী ', গাছ, পাখি ' কৃষিজমি ' বস্তির মানুষ সবার 'নীরব চিৎকার ' কবি শুনতে পেয়েছেন। উত্তরবঙ্গের নদী ডুয়ার্সের জন জীবন সুখ দুঃখ কবি এক সূত্রে গেঁথেছেন। যদিও দীর্ঘ কবিতা হওয়ায় কবিতাটি সুর মাঝে মাঝে কেটে গেছে বলে মনে হলেও। কবিতাটি পড়ে কবির সচেতন নাগরিক বা কবির যে দায় সমাজ মানব জীবনের প্রতি সেদিক থেকে যথার্থ। কবি নিজেকে সান্ত্বনা দিয়েছেন বা এক বিরাট ক্ষোভ ' এ বয়সে দুঃখ! ধুর, সে তো নিজেরই পোষা বেড়াল ' ( পদবিহীন) । শেষ কবিতার নাম " বিসর্জন " এই বিসর্জন কিসের ' আচ্ছা কতবার নিজেকে বিসর্জন দিলে / মর্গের টেবিলে ওঠা যায় ' - চরম বাস্তবতার মুখে কবি নিজেকে পাঠককে সমগ্র জাতি জীবনকে দাঁড় করিয়েছে। নেগেটিভ হয়েও পজিটিভ হতে বলেছেন। এক melancholy সুর বেজেছে কবির বুকে। এভাবে নয় ! ' ডাকনামে ' নিজের অস্তিত্বে ফিরতে পড়ুন -
প্রচ্ছদ - শ্রীহরি দত্ত
প্রকাশক – আলোপৃথিবী মূল্য - ৩০/-
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন