মাঝখানের দরজা
তিমি নিয়ে কথা
হচ্ছিল আমাদের
সেসময় আলো
আর অন্ধকার নিয়ে
ছিনিমিনি খেলা
বাঁদরকে ভালোবাসা যায় বলো অথবা সে
নেহাতই ঘৃণার
পাত্র
গরম ভাতের সামনে
বসে জুলজুলে
চোখ তীব্র
সকালের মতো
অস্বচ্ছ পর্দার ওপারে
জমে ওঠে
ডিজের তুমুল
উল্লাস
এইদিকে ভাত এইদিকে
খানিকটা উষ্ণতা
স্বপ্নের ভ্রম
ফ্যাতাড়ু-বিলাসে দেখো
ধোঁয়া ওঠে
দিব্য ভাতের
ওপরে
ফেরানো যায় না
জন্ম ফেরে
না স্বপ্ন
আর মানবিক
সাধ
মাঝরাতে চরাচর কেঁপে
উঠলে ভূকম্প-ত্রস্ত কাক
সেরকম ধুন্ধুমার কই,
তখনও পতপত
ওড়ে উদ্ধত
পতাকার রং
বাসনা বিলীন ওই
নাগরিক রাতের
বিস্ময় পেঁচার
চোখের মতো
হাভাতে সময় আয়
ভাই পটি
খুলে দিই
তোর নিঃস্ব
দুচোখে
রাতের পর রাত
তারপর আরও
রাত আরও
হিম
হৃদয় বন্ধক রেখে
সময় নিশ্ছিদ্র
পরিত্রাণহীন মৃত্যুতেই
এখনও মধুর বিলাস
এখনও সম্ভ্রম
আর চরম
মোক্ষের
প্রান্তরে জমাট বিষাদ
গোলাপ-বাতাসে
ভাসে মধুঘ্রাণ
আহা !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন