সোমবার, ৩ আগস্ট, ২০২০

লেখক যখন সম্পাদক -- শুভঙ্কর পাল


                                                 গৌরী সেন এখন প্রবাসে

লেখক ও সম্পাদক শুভঙ্কর পাল
   
ভগবান বা কেউ দিব্যি দিয়ে পাঠায়নি মাইরি বলছি , দশক দশক করে মশক বইবার কোনসা গুরুদায়িত্ব নিতে বলেছে ? না কেউ বলেনি , একটা যাপনের অংশ হিসেবেই এই সম্পাদনা করতে আসা জ্যামিতি মেপে একটা ঘর নিজের মতো করে সাজিয়ে তুলবার একটা মরিয়া প্রয়াস করে যাচ্ছি একদিন দুম করে সম্পাদক হওয়া যায়না বলেই আমার  মনে হয় শূন্য দশকে লিখতে আসা একটি ছেলে এই আধুনিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত হলেও তার পারিপার্শিক তাঁকে প্রভাবিত করেনি এটা মানতে পারছি না লিখতে গিয়ে হোঁচট কম খাইনি কিছু কিছু পত্রিকা নাক সিঁটকিয়েছে এই সিঁটকানো অমূলক বলবো না কোথাকার কে পাল কবিতা লিখেছে আর তা তাঁকে ছাপতে হবে এমনটা কখনো দাবি করি না নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হয় কনটেন্ট জোরালো হলে একদিন না একদিন সম্পাদক লেখা চেয়ে নেবে বাস্তবে তাই হয়েছে   জীবনের সেই জয়টাকে দারুন ভাবে উপভোগ করেছি সেদিন বন্ধুরা মিলে জবরদস্ত পার্টি হয়েছিলো সেদিন প্রচুর কবিতারা টেবিলে ভিড় করেছিলো সেদিন ঠিক করে ফেলি নতুনদের নিরাশ না করে তাঁদের তুলে আনার জন্যই এই প্রান্তিক অঞ্চলে একটা কাগজ দরকার কিন্তু ভাঁড়ার শূন্য কয়েকটি টিউশনি করে সংসার চালানো তরুণের এই স্বপ্ন বিলাসিতা বইকি তবুও কিছু একটা করার নেশায় একাই নেমে পড়লাম
হিরণ্যগর্ভ নামে একটি কাগজ করতে রামকৃষ্ণ দা , অতনু দা , সুব্রত সবাই উৎসাহ দিয়েছে সুবীর দা পাশে থাকার সব রকম আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু ওই যে বললাম ফান্ডিং একটা বড়ো ম্যাটার কিছু বিজ্ঞাপনের ব্যাবস্থা হলো লেখা চাইতেই বেশকিছু লেখাও পেয়ে গেলাম বাংলাদেশ থেকে শুরু করে বাইরের বেশকিছু লেখাও এসে যায় কোলকাতা কেন্দ্রিক কিছু লেখাও ছিলো আর সবচেয়ে বড়ো ব্যাপার শূন্য শূন্য পরবর্তী তরুণদের অনেক লেখাও তাতে সামিল হয় বেশ কিছুদিন রাতদিন খেটে জন্ম নেয় হিরণ্যগর্ভ বইমেলা লিটিল ম্যাগাজিন মেলায় এখন এর টেবিলে জায়গা করে নেয় কিন্তু অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয় সবাই পাতা উল্টে সবটা বুঝে যাবার ভাব দেখিয়ে চলে যায় কিছু তরুণ কয়েকটি পত্রিকা সংগ্রহ করে কিছুদিন বাদে কেউ কেউ ফ়োন করে জানায় বেশ হয়েছে কাগজ কেউ কেউ পরবর্তী সংখ্যায় লেখা পাঠায় কিন্তু ওই যে সমস্যার একটাই নাম অর্থ অর্থই অনর্থ ঘটায় প্রেসের সব টাকা শোধ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় ফলে আর মুদ্রিত আকারে তিনটে সংখ্যার পর হিরণ্যগর্ভ এগোতে
পারেনি কিছুকালের নির্বাসন লেখালেখি থেকে নির্বাসন নিতে পারিনি বেশি বেশি করে লিখতে থাকলাম এখানেও একই গল্প অর্থের অভাবে বই করা হয়ে ওঠেনি লিটিল ম্যাগাজিনের কবি হয়েই রয়ে গেলাম দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাবার স্বাদ জাগলো ২০১৭ তে এবার আর প্রিন্টেড নয় এক নতুন জার্নি ওয়েবজিন সম্পাদনা শুরু করলাম উত্তরবঙ্গ থেকে মাসিক ওয়েবজিন রূপে আত্মপ্রকাশ করলো কবিতা করিডোর দেশ বিদেশের অনেকেই লিখতে শুরু করলেন কবিতা করিডোর এখন আমার একার নয় বাংলা সাহিত্যের একটা অংশ হয়ে উঠছে একসময় অনলাইন কাগজের দোহাই দিয়ে বহু লেখক কবি লেখা দেননি আজ অবাক হই , তারই ফেসবুকে বা নানা ওয়েবজিন , ব্লগে দেদার লিখে যাচ্ছে   করোনাকালে এই প্রবণতা অনেক বেশি প্রবল যাক এই অনলাইন পত্রিকার সম্পাদনা যে সঠিক একটা সিদ্ধান্ত ছিলো এটা বলতে আর দ্বিধা নেই কবিতা করিডোর ঘিরে কবি সাহিত্যিক সম্পাদকদের সম্মাননা দেবার কাজও চলছে দু বছর ধরে এখন অনেক বেশি অনলাইন কাগজ আর এই এতো অনলাইন কাগজের মধ্যে কবিতা করিডোর নিজের একটা জায়গা করে নিয়েছে এটাই স্বস্তি দেয় , অনুপ্রাণিত করে আরো ভালো কাজ করার আর হ্যাঁ , সম্পাদক লেখক এই দুই সত্তার বিরোধ নয় , এই দুয়ের ব্যালেন্স করে কাজ করে যেতেই আমার আনন্দ


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উৎসব সংখ্যা -২০২৩ প্রচ্ছদ শিল্পী - রিন্টু কার্যী সম্পাদক- শৌভিক বনিক

  উৎসব সংখ্যা -২০২৩ প্রচ্ছদ শিল্পী - রিন্টু কার্যী সম্পাদক- শৌভিক বণিক উৎসবের আর মাত্র কয়েকটা দিন, একদম হাতে গোনা।  আর উৎসব  সংখ্যা ছাড়া উৎ...