মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০২০

লেখক যখন সম্পাদক -- শৌনক দত্ত


                               বিজয় টকিজ কিংবা গোরস্থানের চাঁদ



লেখক ও সম্পাদক  শৌনক দত্ত
এখনও কিন্তু বহু পত্রপত্রিকায় ভাল সম্পাদকেরা ছড়িয়ে আছেন। তাঁরা ভাল লেখা খুঁজে বেরও করছেন। বড় পত্রিকায় যেমন আছেন, ছোটো পত্রিকাতেও আছেন। সেসব পত্রিকার সম্পাদনাও চমকে দিচ্ছে। কেউ কেউ চেষ্টা করেন, এখনকার লেখক, সম্পাদককে ছোটো করতে। কথাগুলো যখন লিখবে ভাবছে সম্পাদক তখনই ডিম পট্টি পেরিয়ে সাইকেলটি ঢুকে পড়েছে গোরস্থানের রাস্তায়। কোচবিহার যারা থাকেন তারা জানেন নয়ের দশকে রাত নয়টা মানে এই রাস্তা জনমানবহীন ভুতুড়ে রাস্তা,তখন গোরস্থান এখনকার মতো বাউন্ডারি ঘেরা নয় উন্মুক্ত।


ম্পাদকের কাজটা যে ঠিক কী নিয়ে স্পষ্ট ধারণার চেয়ে শ্লেষ-বিদ্রুপই বেশি। ফলে কেউ আর গুরুত্ব দিয়ে ভাবতেই চায় না সম্পাদককে কী ধরনের দায়-দায়িত্ব পালন করতে হয়, কোন ধরনের কাজ তাঁর নিয়তসঙ্গী, এই বৃত্তিতে তাঁর সম্মান-অসম্মান কতটা! মার্কিন সাহিত্যিক অ্যালবার্ট হুবার্ড (এটাই ওঁর বড় পরিচয়, ছাড়াও হুবার্ড ছিলেন শিল্পী, প্রকাশক, দার্শনিক) সেই কবে বলে গেছেন, সংবাদপত্র সংস্থা যে-ব্যক্তিকে সম্পাদক হিসেবে চাকরি দেয়, তাঁর কাজ হল ভুসি থেকে গম আলাদা করা এবং সেই বাছাই করা ভুসিমাল কাগজে ছাপা হয়েছে কি না দেখা! দেখুন, এখানেও সেই ব্যঙ্গ! খবরের কাগজ কিংবা সাময়িকপত্র, যেটাই হোক এই দুক্ষেত্রের সম্পাদকদের কাজ নিয়ে বাজারে যে সব কথা চালু আছে তা প্রায়শই ভেসে বেড়ানো উড়ো কথার মতো। সত্যি-মিথ্যে বোঝা মুশকিল।
তখন সবে ক্যান্সার হাসপাতালটি তৈরি হচ্ছে,রাতে এই রাস্তায় ফেরা মানে গোরস্থানের শেয়াল নেভিকাট সিগারেট আর নিটোল অন্ধকার কেটে কেটে চলা সাইকেলের শব্দ,অবশ্য পূর্নিমার রাতগুলো অন্যরকম হতো। গোরস্থানের পাশেই শালবন,তোর্ষার জলে পৃথিবীর তাবৎ কোজাগরী জাদু আমরা কি হারানো নদীর নাম ভুলে গেছি ? যা কিছু ভুলে যাওয়ার,সব ভুলে গেছি ?
বস্তুত, অপভ্রংশ সব আর আমরা চাঁদের দিকে ধাবিত হওয়া পিলগ্রিম বোধহয়, আমরা মরে গেছি কোন এক জোছনায়... এমন একটা ভূতগ্রস্থ ভাবনা আমাদের অ্যাদোনিস পাঠে আগ্রহী করে তোলে। তখন বেশ লাগে গোরস্থানের নির্জনতা,জোছনায় ভয় ভয় ছায়ার খেলা লেখিয়ে নিতে চায় আমার তোমার কিংবা তাদের কথা যাকে আমরা বলি কবিতা,গল্প বা সাহিত্য চর্চা!


স্বেচ্ছায় পাঠানো লেখার রচনার মধ্যে যে-ব্যাপ্তি থাকে, চেয়ে নেওয়া বিষয়ভিত্তিক লেখায় অনেক সময় তা থাকে না। তখন সমস্যায় পড়েন সম্পাদক। প্রায় ছুঁচো গেলার মতো অবস্থা হয়। বিষয়ের বিচ্যুতি কিংবা যা চাওয়া হয়েছে তার ধার দিয়েও হাঁটেননি রচয়িতা। হয়তো লিখতে বলা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের জীবনে কবি প্রিয়ম্বদা দেবীর নীরব উপস্থিতি এবং এর উল্টো দিকটি। লেখক লিখে দিলেন প্রিয়ম্বদা ওকাকুরার প্রেম এবং প্রেমপত্র নিয়ে। রচনাটি পাঠযোগ্য, কিন্তু সম্পাদকের পরিকল্পনা তাতে সফল হল না। এই অবস্থায় সম্পাদক পড়ে যান গভীর গাড্ডায়। চেয়ে নেওয়া লেখা ছাপতে না পারার অস্বস্তিতে বেড়ে যায় সম্পাদকের রক্তচাপ।

আবেগের কী ভাবে জন্ম হয় সেটা খুবই বিস্ময়কর। পশুদের রকম হয় কি না জানি না। কুকুর-টুকুরের নিশ্চয়ই হয়। কুকুররা রাত্রে ডাকতে আরম্ভ করে, সে খুব অদ্ভুত। নিশ্চয়ই কোনও সঙ্কেত পাঠায়। অন্য কুকুরদের পাঠায়। হয়তো মানুষকেও পাঠায়৷ আমি নিশ্চিত। চাঁদ দেখে কুকুর যখন ডাকে হয়তো চাঁদকেও সঙ্কেত পাঠায়৷ কে জানে ? এই সংকেত আমি পড়তে চাই। বুঝতে চাই এর অর্থ কী ? আমার কবিতাও হয়তো চাঁদের দিকে তাকিয়ে কুকুরের ডাকের মতো। কারও কাছে এর অর্থ থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। এটা একটা অদ্ভুত জিনিস। অত্যন্ত জটিল।উৎপল কুমার বসুর কথাগুলো বিড়বিড় করতে করতে তার মনে হয় সম্পাদনার চাপে তার নিজের লেখা তো হারিয়ে যাচ্ছে,সে যে গোরস্থানের পূর্নিমায় গোটা প্যাকেট নেভিকাট পুড়িয়ে একটা গোটা কবিতা লিখে ফেলতো আজকাল তো আর সে লিখতে পারছে না। লেখকদের যে-কোনো উদাহরণই, একেকটা গোলকধাঁধা। যাদের লেখা আমরা ঘুরে ফিরে পড়ি, যাদের শৈলী প্রবলভাবে আকর্ষণ করে, এমন-কি তাদের জীবন!
গোলকধাঁধার কাজই হচ্ছে আটকে ফেলা। জীবনানন্দ পড়লাম, একইসঙ্গে তাঁর বিবিধ ফেরে পড়লামও তো, তাঁর ট্রাঙ্কে লুকিয়ে রাখা কবিতা আর গদ্যের ফাঁদও কী কম? যে, তুমিও ভঙ্গীটা রপ্ত করতে গিয়ে লুকাতে থাকলে লেখা কোনো এক দূর ভবিষ্যতের জন্যে, বা সের্গেই এসেনিন পড়ে পরবর্তী কোনো তরুণ লেখক হয়ত আত্মঘাতী হবার দুর্বার আকর্ষণে আটকে গেল কোথাও।
নক্ষত্রের তলে অনেক চলার পথ। লেখকদের , সর্বৈব না-পুনরাবৃত্তির। একজনের জন্যে একটিমাত্র। কোথাও সেটা বহুদূর অব্দি গিয়েছে শুধু না, যেতে যেতে জ্বলে উঠেছে আরো। কোনোটা-বা আশ্রয় নিয়েছে বিস্মৃতিতে। সব পথের শেষেই কালের গর্ভ বিশাল হা মেলে আছে।
বিজয় টকিজে কখনো সিনেমা দেখা হয়নি,অথচ রোজ যেতে আসতে সে ভেবেছে এবার যেদিন তার পকেটে টাকা থাকবে না সেইদিন ঠিক বিজয় টকিজে ঢুকে পড়বে সে,নয়ের দশকে হোক না আট কিংবা সাত দশকের ছবি কিংবা গত তিন বছর আগের পুরানো সিনেমা তবু সে দেখবে।

লেখা বাতিল করে দিলে নামী লেখক ক্ষুব্ধ হবেন, অপমানিত বোধ করবেন। সেই পত্রিকার সঙ্গে চিরবিচ্ছেদ হওয়াও বিচিত্র নয়। এই শাঁখের করাত সিচুয়েশন থেকে যেসব সম্পাদক সুকৌশলে নিজেকে বের করে আনতে পেরেছেন বা পারেন, তাঁরা অবশ্যই নমস্য। তবে সেই কৌশলটা যে কী, তা বলা মুশকিল! আরও এক গুরু দায়িত্ব সম্পাদককে পালন করতে হয়। সম্ভবত এই দায়িত্বটাই (এবং দায়) সম্পাদকের জীবনে সবচেয়ে কঠিন কাজ লেখা বাতিল করা। বাতিল হয় সেই সব রচনা, যেগুলি অপাঠ্য, ছাপার অযোগ্য, পাঠকের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ অর্থাৎ সব দিক থেকেই নট আপ টু দি মার্ক। বিস্তর রচনা পড়তে পড়তে সম্পাদক নিশ্চয়ই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তবু সেই শ্রান্তির ভেতর থেকে তাঁকে বেছে নিতে হয় পাঠযোগ্য, মনে রাখার মতো, ভিড়ে হারিয়ে যাওয়ার নয় এমন রচনা। পাঠকের মস্তিষ্ক হৃদয় দরজা খুলে যে-লেখাটিকে সাদর অভ্যর্থনা জানাবে। জন্ম হবে এক সম্ভাবনাময়, প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন লেখক কিংবা লেখিকার। যোগ্য লেখাটি খুঁজে নেওয়ার এই কৃতিত্ব সম্পাদককে নিশ্চয়ই আত্মতৃপ্তি এনে দেয়। আবার কোনও প্রতিষ্ঠিত লেখকের ততোধিক খারাপ লেখা বাতিল করার কাজটি করতে হলে সেই তৃপ্তি যে উবে যায়, বিষয়েও কোনও সন্দেহ নেই।

সময়মতো এবং প্রত্যাশিত আয়তন অনুযায়ী লেখা না পাওয়ার বিড়ম্বনা সম্পাদকের নিত্যসঙ্গী। বলতে গেলে, ডেট-লাইন আর ডেড-লাইন এখানে একাত্ম হয়ে আছে। ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে মুদ্রিত প্রকাশের তারিখটিই শেষ সময়সীমা। এই নির্দিষ্ট সীমানা পার হয়ে যাওয়া মানে সম্পাদকের কার্যক্ষমতা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন পড়ে যাওয়া! ঘোষিত বা নির্ধারিত তারিখে পত্র-পত্রিকা প্রকাশিত না হলে পাঠকরা ভীষণ অসহিষ্ণু অসন্তুষ্ট হয়েছেন এমন উদাহরণ কম নেই। তারিখ মিস করলেই পত্রিকার শিরোনামে পড়বে কলঙ্কের কালিমা। চোখের সামনে তখন দৃশ্যমান হবে প্রতিদ্বন্দ্বী পত্রিকার বক দেখানো হাত সেই মুখ থুবড়ে পড়লি তো! আরে বাবা, ম্যাগাজিন তো আর রাইফেলের ম্যাগাজিন নয় যে, তৈরি টোটা পুরবি আর ফটাস করে ছুড়বি! পত্রিকা বের করতে গেলে কসরত করতে হয়।

তখন দুটো কথার খুব চল ছিলো রাতের গোরস্থানে নাকি চোরাকারবারীরা চোরাকারবার করতো আর বিজয় টকিজে নীল ছবি দেখানো হতো সিনেমার মাঝে,কবি সম্পাদক তার চোখে গোরস্থানের অন্ধকারে কখনো কারবারী চোখে পড়েনি তবে এক বর্ষার রাতে কবর খুঁড়ে শেয়াল লাশ টানতে টানতে রাস্তায় এনে ফেলেছিল আর সেই লাশের মাথায় সাইকেলের চাকা লেগে সে ব্যালেন্স রাখতে না পেরে পড়ে গিয়েছিলো আর একবার বজ্রপাতে মৃত এক ব্যাক্তির লাশ চুরি দেখেছিলো সে যদিও সেদিন ভরা পূর্নিমা ছিলো। চোরের কাছ থেকে ম্যাচ ধার করেছিলো সে,সিগারেট ধরিয়ে লিখেছিলো -একবার কথা প্রসঙ্গে ম্যাক্সিম গোর্কি মহামতি লেনিনকে বলেন যে, ভালো গদ্য লেখার চেয়ে পদ্য লেখা বরং সহজ কাজ। এতে সময়ও কম লাগে। লেনিন সেকথা শুনে তো রেগে আগুন। বলেন, ’থাক কথা আমাকে শুনিও না। কবিতা লেখা মোটেও সহজ কাজ নয়। আমি তো ভাবতেই পারি না। জ্যান্ত ছাল-চামড়া ছাড়িয়ে নিলেও আমাকে দিয়ে তুমি কবিতার দুটো লাইন বের করতে পারবে না!’ লেলিন কিন্তু চাইলেই লিখতে পারতেন। সেই মেধাও তার ছিলো। কিন্তু সেটি মুখ্য নয়। বিষয়টি হচ্ছে কবিতা কবির প্রতি তার ধারণা সম্ভ্রম। এটি যে সহজ কোনো বিষয় বা ছেলেখেলা নয় এটি লেনিন দৃঢ়ভাবে বোঝাতে চেয়েছেন।
লেখার অঙ্গহানি অনেক সময়ই মেনে নিতে পারেন না প্রতিষ্ঠিত লেখকরা। হয়তো প্রয়োজনে একটা লাইন বা কয়েকটা লাইন বাদ দিতে হয়েছে। জনপ্রিয় লেখকের গলা খাদে নেমে এল, ‘ সব কী হচ্ছে! সবচেয়ে ভাল, ইম্পর্টান্ট, জোরালো, কমিউনিকেটিভ জায়গাটাই ফেলে দেওয়া হল! এর পর আর লেখাটার থাকলটা কী!’ এই ভয়ঙ্কর স্পর্শকাতরতার মুখোমুখি হয়ে সম্পাদক তখন মনে মনে হয়তো ভাবেন, তবে কি আমি একটা আকাট সাহিত্যবোধহীন জড়পদার্থ!তার তখন মনে পড়ছে, একবার একটি পুজো সংখ্যায় দয়া করে সব শেষে লেখা দিয়ে তখনকার এক নামী সাহিত্যিক একেবারে গাড্ডায় পড়ে গেলেন। পত্রিকাটির শেষ পাতা অতিক্রম করে তাঁর উপন্যাসের অনেকটা অংশ বাইরে পড়ে আছে।এ দিকে ফর্মা বাড়ানোর কোনও রাস্তা সামনে খোলা নেই। বাণিজ্যিক কারিগরি কারণগুলো বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সম্পাদক লেখককে উপন্যাসের কিছু ডালপালা ছেঁটে দেওয়ার অনুরোধ করলেন।
প্রস্তাবটি পেয়েই লেখক রেগে আগুন! ‘নিজের লেখা নিজে কাটুন’ 

প্রস্তাবটি তাঁর কাছে অপমানজনক মনে হল। অগত্যা সম্পাদক ভীষণ ঝুঁকি নিয়ে (সম্ভবত প্রাণের ঝুঁকিও ছিল!) উপন্যাসটির অঙ্গচ্ছেদ (অবশ্যই শিল্পসম্মতভাবে) করতে বাধ্য হলেন। নির্ধারিত পাতায় লেখাটি ধরানো গেল।পাঠকরা পড়ে বুঝতেই পারলেন না। এও জানলেন না যে,সম্পাদনার জন্য          সম্পাদক কলমের বদলে বড় ধরনের কাঁচি ব্যবহার করেছেন।

নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো সম্পাদকের বয়স বেড়েছে। গোরস্থানের চাঁদ নাগরিক আলোর কাছে ম্লান,বিজয় টকিজ ধুঁকছে,তবুও পরিবর্তিত সময় আত্মসুখের শেষে কেউ যখন এগিয়ে এসে বলে সম্পাদক মশাই একটা জিজ্ঞাসা ছিলো শুনেছি একসময় আপনি দারুন লিখতেন তা কেন লিখতেন বলবেন? বিএসএফ ক্যাম্পের সামনে থেকে একটা তীব্র আলো এসে পড়লো চোখে ঘোর কেটে যায় কিন্তু মাথায় ঘুরতে থাকে লিখতে এসে সম্পাদক হয়ে ওঠার সময়ে লেখা হারিয়ে ফেলার বুদবুদ,আপন মনেই সে বিড়বিড় করে উত্তর বলতে থাকে
আঁদ্রে জিদ বলেছিলেন, ‘লিখি কারন না লিখলে হাত ব্যাথা করে।গার্সিয়া মার্কেজ বলেছিলেন, ‘লিখি যাতে আমার বন্ধুরা আমাকে আরো একটু বেশী ভালোবাসে।ঠিক নিশ্চিত মনে পড়ছে না সম্ভবত হেমিংওয়ে বলেছিলেন, ’যে কারনে বাঘ হরিন শিকার করে সেকারনে আমি লিখি বোঝা যায় প্রশ্নটাকে তারা হালকা চালেই নিয়েছিলেন। এও বোঝা যায় প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে এক ধরনের অসহায়ত্বও তৈরী হয়েছিলো তাদের। কারন প্রশ্নের উত্তর দেয়া দুরুহ। তারচেয়ে বরং উত্তর দেয়ার চেষ্টা না করাই ভালো। অনেক লেখক অবশ্য বেশ মনোযোগের সঙ্গেই প্রশ্ন মোকাবেলার চেষ্টা করেছেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন লিখেছিলেন যে, ‘লেখা ছাড়া অন্য কোন উপায়ে যে সব কথা জানানো যায় না সেই কথাগুলি জানাবার জন্য লিখি।




জীবনানন্দ দাস ছোট খাটো একটা নিবন্ধ লিখেই প্রশ্নের উত্তর দিতে চেয়েছিলেন, লিখেছিলেন, ‘আমার এবং যাদের আমি জীবনের পরিজন মনে করি তাদের অস্বস্থি বিলোপ করে দিতে না পেরে জ্ঞানময় করার প্রয়াস পাই এই কথাটি প্রচার করে যে জীবন নিয়েই কবিতা।এসব তো সাহিত্যের দিকপালদের কথা। কিন্তু আমি কেন এই লেখালেখির পাকচক্রে পড়লাম? একটা ব্যাপার বুঝি যে না লিখলে সর্বনাশ কিছু হতো না বরং লিখতে গিয়েই যা কিছু সর্বনাশ হয়েছে। কোথাও কোন দস্থখত দেইনি যে লিখতে হবে, না লি
খলে আমার মৃত্যুদন্ড হবারও কোন সম্ভাবনা নাই, লিখে বৈষয়িক কোন সুবিধাও বিশেষ হয়নি তারপরও লিখে চলেছি।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উৎসব সংখ্যা -২০২৩ প্রচ্ছদ শিল্পী - রিন্টু কার্যী সম্পাদক- শৌভিক বনিক

  উৎসব সংখ্যা -২০২৩ প্রচ্ছদ শিল্পী - রিন্টু কার্যী সম্পাদক- শৌভিক বণিক উৎসবের আর মাত্র কয়েকটা দিন, একদম হাতে গোনা।  আর উৎসব  সংখ্যা ছাড়া উৎ...