বঙ্কিমচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায় তাঁর প্রথম উপন্যাস রাজমোহনের স্ত্রী ইংরেজি ভাষায় লিখেছিলেন ।
মহাকবি মাইকেল
তাঁর প্রথম কাব্য ক্যাপটিভ লেডি ইংরেজি ভাষায় লিখেছিলেন।
দীনবন্ধু
মিত্রের নীল দর্পণ ইংরেজি অনুবাদে প্রকাশ হয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল । সেই অপরাধে
বঙ্গপ্রমী পাদরি জেমস লঙ এর কারাদণ্ড হয় । অর্থ দণ্ডটি নিজের ট্যাঁক খসিয়ে মিটিয়ে
দিয়েছিলেন কালীপ্রসন্ন সিংহ ওরফে হুতোম পেঁচা । জনশ্রুতি এই যে, অসামান্য নাটকটি নিজের পরিচয় প্রচ্ছন্ন রেখে
অনুবাদ করেছিলেন মহাকবি মাইকেল । আর বিদ্যাসাগর উইলিয়ম সেক্সপীয়রের কমেডি অফ এররস
কে নতুন আঙ্গিকে নতুন চেহারায় নির্মাণ করে পেশ করেছিলেন " ভ্রান্তি
বিলাস" করে। রবীন্দ্রনাথের যে পুস্তক নোবেল সম্মান পায়, তা আসলে " সঙ অফারিংস " ।
গীতাঞ্জলি,
গীতালি, গীতিমাল্য,
খেয়া আর নৈবেদ্য কাব্য গ্রন্থের কিছু কিছু
কবিতাকে সেই " সঙ অফারিংস" বইতে অসামান্য অনুবাদে পাই ।
ইংরেজি ভাষার
কাছে বাংলা ভাষার ঋণ শোধ করবার নয় ।
'বন্দে মাতরম' মানে হল মা,
তোমাকে বন্দনা করি । মা একটি সংসারে কি
দায়িত্ব পালন করেন,
যে কোনও বিবেচক মানুষ জানেন । গর্ভধারিণী , স্তন্যদায়িনী , শিক্ষিকা , সেবিকা ,
সান্ত্বনাদায়িনী - মা কতো ভুমিকা যে পালন করেন ! যে জাতি
"বন্দে মাতরম" বলে স্বাধীন হয়েছে , মহিলাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখেছে , রাষ্ট্রপতি হিসেবে পেয়েছে , প্রধান বিচারপতি
হিসেবে দেখেছে - সেখানে একটিও মেয়ে কেন নির্যাতিত হবে ? কাজ শুরু হোক নিজের বাড়ি থেকে - গান সোচ্চারে গাই আর না গাই নিজের মা বোনকে
সম্মান করতে
যেন শিখি ।
বন্দেমাতরম
গানটি যে খুব সোজা,
- আর শব্দগুলো খুব পপুলার, তাতো নয় । বরং ভাষাটি ক্লাসিক্যাল । দীক্ষিত
সঙ্গীতশিল্পী চাইলে নিশ্চয় রেওয়াজ করে এ মহৎ গানটি গাইতে পারেন । এ গানের ভেতর এক
উচ্চ অনুপ্রেরণা আছে - আমি এটা অনুভব করেছি । মহৎ জিনিস সর্বদা পপুলার হয় না।
পপুলারিটি দিয়ে মহত্ত্ব পরিমাপ করা যায় না। থিওরি অফ রিলেটিভিটি সকলে জলবৎ তরলম
করে বুঝে নেবেন এমন শিশুসুলভ আকাঙ্ক্ষা আমার নেই ।
১৮৯৬ সালের ২৮শে
ডিসেম্বর কলকাতায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে সর্বপ্রথম রাজনৈতিক
প্রেক্ষাপটে গীত হয় বন্দে মাতরম।
গানটি পরিবেশন
করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
নিজের লেখা
কবিতার বাছাই করা কয়েকটির ইংরেজি অনুবাদ তিনি করেছিলেন নিজেই। এভাবেই রবীন্দ্রনাথ
"song
offerings" সৃষ্টি করেন ।
গীতাঞ্জলি,
গীতিমাল্য, নৈবেদ্য,
খেয়া, অচলায়তন,
শিশু, স্মরণ,
কল্পনা, চৈতালি,
উৎসর্গ এই দশটি কাব্য থেকে পছন্দ করে করে কবিতা
খুঁজে নিয়ে । সেই ইংরেজি অনুবাদের সঙ্কলনের একটি মুখবন্ধ লিখে দেন আইরিশ কবি ইয়েটস ( ১৮৬৫ - ১৯৩৯) । ইয়েটস এর
জন্মদিন এই জুন মাসের ১৩ তারিখে , আর জুন মাসের ৩০ তারিখে গোটা পৃথিবীর রবীন্দ্রপ্রেমীরা আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র কাব্যপাঠ দিবস পালন
করেন। । এই রকম কোনো সময়েই লণ্ডনে রবীন্দ্রনাথ এই অনূদিত কবিতাগুলি পড়ে
শুনিয়েছিলেন।
তেরোই এপ্রিল।
এপ্রিলের তেরো তারিখ। ১৯১৯ সাল। জালিয়ানওয়ালা বাগে রাজনৈতিক বক্তব্য শুনছিল জনতা।
বক্তা ডাঃ সত্যপাল আর সৈফুদ্দিন কিচলু। মাইকেল ও ডায়ারের নির্দেশে নিরস্ত্র জনতার
উপর গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। তার পরেও এলাকায় চলেছিল সরকারি সন্ত্রাস।
স্পষ্ট বোঝা
যাচ্ছিল রাষ্ট্র শক্তি তার সমস্ত ভালমানুষির মুখোশ ঝেড়ে ফেলে উলঙ্গ নখ দাঁত বের
করেছে। রাজনৈতিক দলের নেতারা চুপ। রাজনৈতিক বিরোধ করতে তাঁদের শিক্ষা।
রাষ্ট্রশক্তির দাঁত নখের মোকাবিলা আলাদা জিনিস। রাজনৈতিক দলের নেতারা সব চুপ। তো
তখন একজন কবি কিভাবে পথে নামলেন, কিভাবে দাঁড়ালেন
মানুষের পাশে?
কবিরা যেন কেমন
ভাবে দেখতে পান। কবিরা,
আমি স্পষ্টতই স্তাবকদের থেকে কবিকে আলাদা
করছি,
দেখতে পান অনেক দূর অবধি। ব্রিটিশ চলে যাবার
পর,
এই ভারত নামে দেশটার ঠিক কি হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আশঙ্কা ও
উদ্বেগের অবধি ছিল না। কবি বেশ দেখতে পেতেন একদিকে প্রাচীনপন্থী, গোঁড়া, রক্ষণশীল একটা রাজনৈতিক স্বার্থগোষ্ঠী, আরেক দিকে সর্বত্যাগী,
কিন্তু হঠকারী, সৎ কিন্তু অদূরদর্শী একদল স্বাধীনতা সংগ্রামী, আর দু তরফের সুবিধাবাদী নেতৃত্ব, যাঁরা ক্যাডারদের সামনে ঠেলে দিয়ে সুবিধাভাগ করে নিতে লজ্জা পাবেন না। আর
দেখতে পান দেশজোড়া সাম্প্রদায়িক সহিষ্ণুতা গুণের অভাব। দেশটা যে নির্দিষ্ট কোনো
সম্প্রদায়ের সম্পত্তি নয়,
এইটা বোঝার মতো উদারতাসম্পন্ন নেতৃত্ব তাঁর
চোখে বিশেষ পড়ে নি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেশ টের পাচ্ছিলেন, একটা দেশভাগ অবশ্যম্ভাবী। আজ স্বাধীনতা
অর্জনের এত বৎসর পরে সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলে বলা দরকার, সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত
লড়াইয়ের অভাবেই দেশভাগের আগেই দুই সম্প্রদায়ে দাঙ্গা বেধেছে, আর দেশভাগের পর উদ্বাস্তু শিবিরে মেয়েরা
ধর্ষিতা হয়েছে। মানুষের রক্তে, ধর্ষিতা মেয়ের
কান্নায় স্বাধীনতা মলিন হয়ে গিয়েছে। অনেক সংবেদনশীল স্বাধীনতা কর্মী দুঃখে ক্ষোভে
পাগল হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা দেশসেবকের তাম্রপত্র নিতে যান নি।
রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর বসন্ত নাটকটি উৎসর্গ করলেন কাজী নজরুল ইসলামকে আর তাসের দেশ উৎসর্গ করলেন
সুভাষচন্দ্র বসুকে। যৌবন জলতরঙ্গের প্রতি তাঁর বরাবর তীব্র আকর্ষণ ছিল।
বাংলা গদ্য নিয়ে
শখে হোক আর রুটি রুজির স্বার্থেই হোক, যাঁরা যত্ন নিয়ে কাজ করতে চাইবেন, তাঁদের সকলকেই
স্বামী বিবেকানন্দের গদ্য ভাষা নজর করতে হবে।
এ ভাষার জোর সাংঘাতিক । চিন্তা বলিষ্ঠ হলে যে ভাষা বলিষ্ঠ হয়, বিবেকানন্দের বাংলা চিঠি পত্রে তার ভালো নজির
আছে। অথচ সাহিত্যিক বলতে যা লোকে বোঝে, তা তো তিনি ছিলেন না। যাই হোক ছাত্র বয়সেই, মনে হয় সপ্তম শ্রেণীতেই আমি বিবেকানন্দের বাংলা গদ্য পড়ে টের পাই তাঁর প্রাণের
স্পর্ধা ।
তিনি সুয়েজ
খালের উপর জাহাজ যাত্রার কথা লিখেছিলেন। কি যে সহজ অন্তর ছোঁয়া গদ্য ছিল সেটি!
রাত্রির গভীর
বৃন্ত থেকে ছিঁড়ে আনো ফুটন্ত সকাল
এমন একটা কথা বলতে মনের জোর লাগে । তবু একজন
সার্থক কবি যখন
মন্দ্র স্বরে বলেন " রাত্রির গভীর বৃন্ত
থেকে ছিঁড়ে আনো ফুটন্ত সকাল " তখন সেই কবির গভীর সদর্থক আর ইতিবাচক মনটিকে
চিনে নিতে পারি
সৌর পরিবারের
দূরতম বলয়ে রয়েছে নানা ধূলিকণা , বরফ আর মিথেন এর
মতো গ্যাস । ওই নিয়ে উরট ক্লাউড । আর কুইপার বেল্ট । ধূমকেতুর দল ওই গভীর গহন
এলাকা থেকে উঁকি মারে আমাদের চেনা আকাশে । ধূলিকণা , বরফ আর মিথেন এর মতো গ্যাস দিয়ে তৈরি
ধূমকেতুর দেহ । চেনা জানা গ্রহ উপগ্রহদের মতো নয় ধূমকেতুর চেহারা। নিজেকে সুগোল করে
বানাতে যে বৃহৎ ভর প্রয়োজন , তা জুটিয়ে উঠতে
পারে না একটি ধূমকেতু ।
কবিও সর্বদা
পারে না সামাজিক সাংসারিক হিসেব মিলিয়ে চলতে ।
তাই কবি যেন
কেমন একাকী
প্রকৃত কবি
রাজার ধামাধরা সাজতে লজ্জা পায়
কিন্তু একজন
যথার্থ কবিই পারেন রাজার উলঙ্গ চেহারাটা তুলে ধরতে।
কিংবা রাজার
দেশজোড়া সৈন্য যে আসলে কিসের জন্যে তা মুখ ফুটে বলতে পারেন প্রকৃত কবি
তাঁরাই বলতে
জানেন
" রাত্রির গভীর
বৃন্ত থেকে ছিঁড়ে আনো ফুটন্ত সকাল "
কবিরা যেন সেই
ধূমকেতু
যারা আঁধারে
অগ্নিসেতু বাঁধবেন।
যাকে মহৎ
সাহিত্য বলে,
তাকে চিরকাল চিন্তাবিদেরা শ্রদ্ধা করে
এসেছেন। কবিতা কি হবে,
কেন হবে, তৃতীয় শ্রেণির রাজনীতি করে খাওয়া লোকেরা ঠিক করে দেন নি, দিতে পারেন নি। বাংলায় কাজী নজরুল, সুকান্ত, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, দিনেশ দাস, মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষের মতো বড়ো কবির লেখা পড়ে অনেকেই ভাল
কাজ করতে উৎসাহ পান। মহৎ সাহিত্য অনেক সময় রাজনৈতিক গোষ্ঠীর মার্কা মারা লেবেল
সাঁটা বোতলে পোরা জিনিস হয় না। মহৎ সাহিত্য নিজের নিয়ম নিজে লেখে। রাজনৈতিক গুরু
ঠাকুর পাণ্ডা পুরুতের কাছে তার টিকি বাঁধা নেই।
অন্তর থেকে
বিশুদ্ধতম ভালবাসা দিয়ে যাঁরা বাংলা কবিতা লিখবেন, তাঁরা নিশ্চয় খেয়াল করবেন যে, আধুনিক
বাংলাভাষার মহাকবি মধুসূদন দত্তের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম "ক্যাপটিভ
লেডি"। আধুনিক বাংলা গদ্য লিখেছেন বঙ্কিম, তাঁর প্রথম লেখা "রাজমোহন'স ওয়াইফ"। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে বই নোবেল পুরস্কার এনে দিল, তার নাম "সং অফারিংস"। এর
কবিতাগুলি কবি নিজেই অনুবাদ করেছিলেন। এই কবিতাগুলি গীতাঞ্জলি, গীতালি, গীতিমাল্য,
খেয়া, নৈবেদ্য প্রমুখ দশটি গ্রন্থ থেকে রীতিমতো বাছাই করা । কোনও বিশেষ একটি
কাব্যগ্রন্থের অনুবাদ মাত্র নয়। আর জীবনানন্দ দাশ, বুদ্ধদেব বসু,
বিষ্ণু দে, সমর সেন,
অমিয় চক্রবর্তী, এঁরা সকলেই পেশায় ইংরেজিবিদ। হয় ইংরেজি ভাষা
সাহিত্যের অধ্যাপক,
নয় তো জার্নালিস্ট বা খুব বড়ো চাকুরে।
নিজের ভাষাকে
ভালবাসতে গিয়ে অন্য ভাষার প্রতি কোনো ঘৃণা আর বিদ্বেষ যেন প্রকাশ না পায়।
কবি শামসুর
রহমানের কথা বলতে ইচ্ছে করে। ওঁর বেশ কিছু কবিতা সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্থ।
ছাত্রছাত্রীরা আবৃত্তিকালে সুকান্ত ভট্টাচার্য, দিনেশ দাস,
বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়দের সাথে তাঁর কবিতাও
বলতো। "ধন্য রাজা ধন্য, দেশ জোড়া তার
সৈন্য" কবিতাটি বেশ নাড়া দিয়ে যায় আমাকে। হ্যাঁ, 'মুখটি খোলার জন্য' যাদের স্বদেশ সমাজে নিয়মিত নিগৃহীত হতে হয়, তারা জানেন, এই কবিতার পংক্তিগুলি অমোঘ হয়ে গিয়েছে। হ্যাঁ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর
"উলঙ্গ রাজা"র মতোই।
অরওয়ালের
গণহত্যার কথা আজ আর কার কার মনে আছে জানি না। স্বাধীন দেশের ভিতরে নিজস্ব সেনা
পোষার এলেম ছিল ভূমিপ্রতিপত্তি সম্পন্ন বড়লোকেদের, আর তা নিয়ে রাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ সেভাবে
উদ্বিগ্ন ছিলেন না। কেননা জমিদারের লেঠেল বাহিনী আগুন লাগাতো গরিবের ঘরে, ধর্ষণ করতো গরিবের মেয়ে বউকে। গরিবের প্রাণ
যে সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের সমাজে আদৌ মূল্যবান নয়, তা বার বার দেখিয়েছেন রাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ।
তখন কবি
সাহিত্যিককে কলম ধরতে হয়। নিজের নিজের সময়ে রাষ্ট্রীয় ঔদ্ধত্যে গরিবের প্রাণ গেলে
প্রতিবাদ করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল,
সুকান্ত। দিনেশ দাস, মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রাম বসু, এঁরাও কালোবাজারি ও নানা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরতে ভয় পান নি। আমাদের শঙ্খ
ঘোষও তাঁর সময়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে গলা তুলেছেন। মিছিলে পা মিলিয়েছেন। তো অরওয়ালের
গণহত্যার সময়ে আমি তাঁর কবিতা পাঠ করে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের কলমে দুবার না ভেবে
ওঁর কবিতার দুচার পংক্তি ব্যবহার করি। তখন থেকেই জানি সময়ের প্রতি দায়বদ্ধতা
আধুনিক কাব্যচেতনার অচ্ছেদ্য অঙ্গ।
আমার ভাষাচেতনা
সর্বমানবের মুক্তি চেতনার সাথে সমন্বিত। আমার সময়ে ইতিবাচক গঠনমূলক ভূমিকা নিতে
নিতে আমার ভাষাচেতনা বিকশিত হয়ে ওঠে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন