লেখিকা ও সম্পাদক -- রিমি দে |
না জানি কী একটা করে ফেলব এমন ভাব
নিয়ে এদিক ওদিক বলা শুরু করে দিয়েছিলাম, 'কোন
বাজে লেখা রাখব না'।আর 'পরস্পরের
পিঠ চুলকে আমারটা তোমারটা আমি ছাপব!' এসবের মধ্যে পদ্য থাকবে না।
দেখুনতো! এরকম বাতেলিঙের কোন মানে
হয়, যেখানে একটা
সংখ্যাও বের হয়নি!বয়স তখন মোটেও কম ছিল না! 1999 এ মাথায় আসে পদ্য-র ভূত। মাথায় ঢোকান
এক কবি বন্ধু ও সাংবাদিক। আমার লেখালেখির বয়স কিন্তু সম্পাদনার বয়সের চেয়ে বড়। অর্থাৎ
লেখক রিমি দে অগ্রজ সম্পাদক রিমি দে অনুজ।অথচ লেখক রিমি প্রথম দিকে হবু সম্পাদক রিমিকে
বলেইনি এত বড় বড় কথা বলতে নেই।কাজ করো,কাজই তোমার পরিচয়! ততদিনে আমাকে নিয়ে ছোটশহরের কানাঘুসো শুরু হয়ে গেছে তিলকে
তাল বানিয়ে! যাই হোক সে সব সম্পাদনার শুরুর দিকের কথা। কুড়ি বছর হল পদ্যর।প্রচুর ঘটনা,প্রচুর
লড়াই, মেয়েদের চরিত্রগত উপযুক্ত বিশেষণ জুড়ে দিয়ে অপমানজনকভাবে মাটিতে মিশিয়ে দেবার প্রচেষ্টা, আবার সেই মাটিতেই উঠে দাঁড়িয়ে দাপিয়ে
পদ্য নিয়ে মগ্ন থাকতে থাকতে কখন যে জীবন-কবিতা জীবন-দেবতা হয়ে গেল
সে টের আর পেলাম কই!
সাহিত্যের অন্যান্য বিষয়ে কিছু লেখা
লিখলেও যে লেখা আমাকে ছায়ার ইশারায় তার কাছে নিয়ে যায় সময়ে অসময়ে হর্ষ এবং বিষাদে,তাকে সবাই
কবিতা বলে সম্বোধন করে।তাতে
আমি পুলকিত হই।নিজেকেই রাখি নিজেরই সমারোহে।পদ্যতে যে বিষয়গুলোকে টেনে আনি সেখানেও
নিহিত থাকে কবিতার ভ্রূণ।কাজেই আমার দুইসত্বা মিলেমিশে একাকার থাকে। জীবনের অলিগলির নানান অভিজ্ঞতার নির্যাস আমাকে নিয়ত কবিতা নিরীক্ষার
মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।সেই কারণে বক্রচোক্ষুর আস্ফালনও যেমন সইতে হয়েছে পাশাপাশি প্রচুর
রিজেকশনও!তাতে অবশ্য আমার কিছুই এসে যায়নি। কারণ কাউকে তুষ্ট করে বিশেষ সুযোগ নেবার
উদ্দেশ্য নিয়ে কোনদিন আমি লিখতে চাইনি।চাইবও
না। এটুকু আস্থা আছে নিজের ওপর।আর আমি বিশ্বাস করি যেকোন সৃজন হল নদী।বয়ে চলা তার কাজ। আর
লিখে কী হয় এ প্রশ্ন কেউ করলে আমি বলব জানিনা। কারণ না লিখে পারিনা!তবে এটুকু টের পাই
যে অন্তরটা মহল হয়।অন্তত ঐশ্বর্যশালীতো হয়ই ভেতরবাড়ি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন