পথ হাঁটে পদ্য শিশু
(উৎসর্গঃ বিনয় মজুমদার)
বস্তুত, মেদহীন কবিতার কাছে দিনরাত
পড়ে থাকতে চায় -- একটি পদ্যশিশু
মেঘের নরম কুয়াশা ভেদ করে ছুটে আসা আলোর খোঁজে
যে অনাবিল ভোর থাকে, তার স্নিগ্ধতামাখা
উষ্ণতার পারদ ছুঁয়ে পথহাঁটা দিগন্তগামী সন্ন্যাসীর মতো
পথে পথে অনন্তবিছানো কাঁটা। মায়া, মোহ, কাম
লোভ ও ক্ষোভ
দিগভ্রান্তজ্বর এসে জড়িয়ে ধরে স্নায়ু। কিংবা স্নায়বিক সমস্ত সরণ
তবু অভাবিত একদিন কবিতানদীর পাড়ে
উদভ্রান্ত পথিকের দেখা হয় মুখোমুখি, এক বিনয়ীসূর্যের
মুখোমুখি, এক অবিকল্প কবিতা-ঈশ্বরের
আহা এত বড় চোখ তাঁর আর এত বড় মাথা। এত বিপুল আলোকজ্জ্বল
রশ্মি ও আভা। অথচ কী ভীষণ স্বচ্ছ সতেজ এক
নির্লিপ্ততা। ঝরে পড়ে দিন থেকে। ঝরে পড়ে রাত থেকে
বিনিময়ে ভোগ নেই, শোক নেই; শুধু
লিখে রাখে কবিতা
লিখে রাখে কবিতায় জীবন, বৃত্তান্ত, অংক ও আত্মা
সুতরাং দেখাদেখি তাঁর
মেঘের নরম কুয়াশা ভেদ করে ছুটে আসা আলোর খোঁজে
যে অনাবিল ভোর থাকে সেই স্নিগ্ধতামাখা
উষ্ণতার পারদ ছুঁয়ে দ্যাখো এখন,
বাংলা কবিতার সহস্র পদ্যশিশু,
হাঁটছে আবার পথহাঁটা দিগন্তগামী সন্ন্যাসীর মতো...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন